হুগলির গোঘাটের বদনগঞ্জ, শ্যামবাজার, বেলডিহা এলাকার শতাধিক মানুষ তাঁত শিল্পের উপর নির্ভরশীল। বাম আমলে সরকারি সাহায্যের অভাবে বন্ধ হতে বসেছিল তাঁতশিল্প। বর্তমান সরকার আর্থিক সাহায্য ও যন্ত্রাংশ দিয়ে তাঁতশিল্পীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। পুজোর আগে নতুন উদ্যমে শাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত তাঁতশিল্পীরা।
পুজো দোরগোড়ায়। বাঙালির কেনাকাটায় তাঁতের শাড়ি থাকবে না, তা কি হয় ? মহিলাদের সাজিয়ে তুলতে জোরকদমে শাড়ি বুনছেন শিল্পীরা। গোঘাটের বদনগঞ্জ, শ্যামবাজার, বেলডিহা এলাকার শতাধিক মানুষ তাঁত শিল্পের উপর নির্ভরশীল। মহাজনের থেকে সামগ্রী নিয়ে কাপড় তৈরির পর পাওয়া যেত মাত্র ২৫০-৩০০ টাকা। বাম আমলে সরকারি সাহায্যের অভাবে বন্ধ হতে বসেছিল তাঁত শিল্প। তবে বর্তমান সরকারের সাহায্যে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন শিল্পীরা। আর্থিক অনুদান ও নতুন যন্ত্রাংশ পেয়ে মুখে হাসি ফুটেছে তাঁদের। নিজেরাই সামগ্রী কিনে তাঁত বুনছেন। পুজোর আগে অনেক বেশি পরিমাণে শাড়ি তৈরি করতে পারছেন তাঁতশিল্পীরা।
তাঁতপিছু ৮,২৯৩ হাজার টাকা দিয়েছে রাজ্য সরকার। দেওয়া হয়েছে তাঁত বোনার যন্ত্রাংশ, মাকু, সানা, বোয়া। তবে আর্থিক বা যন্ত্রাংশ দিয়ে সাহায্য করেই থেমে থাকেনি প্রশাসন। তাঁত শিল্পীদের জন্য এলাকায় নতুন ভবন তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই ভবনে একসঙ্গে তাঁতশিল্পীরা প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন।
রাজ্য সরকারের উদ্যোগে তাঁত শিল্পে সুদিন ফিরেছে। তাঁত বুনে নিজেদের জীবনে স্বনির্ভরতার গল্প বুনেছেন শিল্পীরা। তাঁদের জীবনে আলো পড়েছে। সংসার হয়েছে সচ্ছল।
Be the first to comment