মুম্বইয়ের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে তাঁর বক্তব্যের ক্লিপিং তুলে টুইট করেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। আলোচনা শুরু হয়ে যায় জাতীয় রাজনীতিতে। অবশেষে ‘ঝুটো প্রতিশ্রুতি’ ইস্যুতে তাঁর বক্তব্যের ব্যাখা দিলেন ব্যাখা দিলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ ও সড়ক পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গডকড়ী। বললেন, “আমি চোদ্দর ভোট বলতে মহারাষ্ট্রের ভোটের কথা বলতে চেয়েছিলাম।”
#মি_টু বিতর্কে তনুশ্রী দত্তর বাণে বিদ্ধ অভিনেতা নানা পাটেকর সঞ্চালনা করছিলেন। সেখানে নিতিন বলেন, “আমরা তো নিশ্চিত ছিলাম আমরা ক্ষমতায় আসব না। তাই কয়েকজন বলেন লম্বা লম্বা প্রতিশ্রুতি দিতে। সেগুলোই বলতে থাকেন নেতারা। কারণ সবাই জানতেন, ক্ষমতায় না আসলে এ নিয়ে আর কেউ প্রশ্নও তুলবে না। কিন্তু ক্ষমতায় এসে যেতেই জনগণ এখন দিন, তারিখ উল্লেখ করে কে কোথায় কী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা মনে করিয়ে দিচ্ছে।”
এই ক্লিপিং টুইট করে রাহুল গান্ধী লেখেন, “ঠিক কথা বলেছেন নিতিন গডকড়ী। দেশের জনগণও মনে করে, সরকার তাঁদের ভরসা এবং স্বপ্ন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে।”
এমনিতে বিজেপিকে বিপাকে ফেলার মতো মন্তব্য গডকড়ী আগেও করেছেন। কিন্তু অতীতে তাঁকে ব্যাখ্যা দিতে শোনা যায়নি। এ ব্রা তিনি বলেন, আড়াইমাস আগের ওই অনুষ্ঠানে মারাঠি ভাষায় তিনি যা বলেছিলেন তা ২০১৪ সালের মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচন প্রসঙ্গে। আলোচনা হচ্ছিল দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এবং গোপীনাথ মুন্ডেকে নিয়ে। কংগ্রেস সভাপতির উদ্দেশে তাঁর কটাক্ষ, ‘রাহুল গান্ধী কি মারাঠি বোঝেন?” শুধু তাই নয় একাংশের সংবাদ মাধ্যমের দিকেও অভিযোগ তুলেছেন প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি। তাঁর অভিযোগ, “একাংশের মিডিয়া এই বক্তব্যের অংশ তুলে ভুল ভাবে প্রচার করেছে।”
Be the first to comment