বুধবার বিকেলেই ইস্তফা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিদেশ প্রতিমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান সাংবাদিক এমজে আকবর। অনেকে আবার বলছেন, উনিশের ভোটের আগে কেন্দ্রের শাসকদল খানিকটা চাপে পরেই ইস্তফা দেওয়া করিয়েছে আকবরকে দিয়ে। ইস্তফার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই বৃহস্পতিবার আকবরের করা সাংবাদিক প্রিয়া রামানির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা উঠতে চলেছে আদালতে।
শুরু হয়েছিল নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে তনুশ্রী দত্তর অভিযোগ দিয়ে। এর পর যত দিন এগিয়েছে ততই তালিকা লম্বা হয়েছে। ক্রিকেট, বলিউড, রাজনীতি মি টু ঝড়ে বেসামাল সব মহল। গত ৮ অক্টোবর এম জে আকবরের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন সাংবাদিক প্রিয়া। কিন্তু আকবরের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। কারণ তিনি দেশেই ছিলেন না। ছিলেন নাইজিরিয়ায়। রবিবার সকালে যখন আকবরসাহেব দিল্লি বিমানবন্দরে নামেন ছেঁকে ধরে সাংবাদিকরা। দীর্ঘদিনের সাংবাদিক, বহু সংবাদপত্রের সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা আকবর বলেছিলেন, “এখন নয়। বলব। তবে পরে।”
কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মুখ খুলেছিলেন প্রিয়া রামানির মি টু বাণে বিদ্ধ ৬২ বছরের আকবর। বলেছিলেন, সব মিথ্যে। তাঁর সামাজিক সম্মান খোয়ানোর জন্য প্রিয়া রামানি এই অভিযোগ করেছেন। তিনি মানহানির মামলা করবেন। আকবর যে মন্ত্রীত্ব থেকে পদত্যাগ করবেন না তাও পষ্টাপষ্টি জানিয়ে দিয়েছিলেন রবিবার। সোমবার মানহানির মামলা করেছিলেন আকবর। ৯৭ জন উকিল দাঁড় করিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে আকবরের বিরুদ্ধে অভিযোগকারীর সংখ্যা ২০ ছুঁয়ে ফেলেছে। অষ্টমী তিথিতে ইস্তফাও দিয়ে ফেলেছেন আকবর। এ বার দেখার মানহানির মামলা নিয়ে আদালতে আকবরের স্বস্তি মেলে নাকি তাঁর অস্বস্তি আরও বাড়ে।
Be the first to comment