দেখতে দেখতে ২০১৮ সালের দুর্গা পুজোও শেষ। বাপের বাড়ি থেকে কৈলাশের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে দিয়েছেন উমা। স্বভাবতই মনখারাপ সব বাঙালির। আট থেকে আশি অনুভূতিটা সবারই এক। আবার একটা বছরের অপেক্ষা। কিন্তু শত মন খারাপের মাঝেও বাঙালি কিন্তু বিজয়া দশমীটা জমিয়ে পালন করে। কোলাকুলি থেকে মিষ্টিমুখ সবটাই হওয়া চাই একদম নিখুঁত ভাবে। আর এই বিজয়া দশমীর মূল আকর্ষণ হলো হরেক রকমের মিষ্টি।
শহর কলকাতায় অবশ্য বহু ডাকসাইটে মিষ্টির দোকান রয়েছে। বাজারে রমরমাও রয়েছে তাদের। আইটেমও রয়েছে ভ্যারাইটি। তবে হুগলীর বাসিন্দাদের একটা বড় অংশের কাছে কিন্তু বিজয়ার মিষ্টি মানেই ‘ফেলু মোদক’।
নবমীর বিকেল থেকেই দোকানে লাইন পড়েছিল স্থানীয়রা। হাজির হয়েছিলেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা মানুষও। বাড়ির বড়দের হাত ধরে বর্ষীয়ান এই প্রতিষ্ঠানে এসেছিল কচিকাচারাও। আর সবার আকর্ষণের কেন্দ্রে ছিল দোকানের শোকেসে থরে থরে সাজানো বাহারি মিষ্টি। কর্ণধার অমিতাভ জানালেন, ভিড়ের রেশ থাকবে জগদ্ধাত্রী পুজো পর্যন্ত।
দোকানের কর্ণধার অমিতাভ দে জানালেন, বিজয়া স্পেশাল যা মিষ্টিই দোকানে বানানো হোক না কেন হটকেক কিন্তু বরবরই কুচো গজা আর মিহিদানা। সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে ঝুরো বোঁদে। তবে এ বছর বিজয়া দশমী উপলক্ষে ফেলু মোদকের ভাঁড়ারে রয়েছে বেশ কিছু অভিনবত্ব।
বাড়ির খুদে সদস্যদের জন্য ফেলু মোদক বানিয়েছে জেমস্ সন্দেশ। উপরে রংবেরংয়ের জেমসের সঙ্গে ভিতরে রয়েছে চকলেট বল। অমিতাভর কথায়, আজকাল বাচ্চারা তো মিষ্টি খেতেই চায় না। কিন্তু চকলেট সবার প্রিয়। তাই ভাবলাম দুটো মিশিয়ে যদি অন্যরকম কিছু করা যায়। আমাদের ছোটবেলায় নানা রঙের জেমস্ কিন্তু সবার পছন্দ ছিল। সেই জন্যই জেমস্ বাছলাম।
সব শুনে পাঠকের জিভে যে জল আসবে তা অনুমান করাই যায়। অতএব নিজের মনকে বলুন ‘আর বিলম্ব না না, আর বিলম্ব নয়।’
Be the first to comment