দশমীর রাতে দু’টি মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মারা গেলেন ৭ জন, আহত ১৫

Spread the love

দশমীর রাতে দু’টি মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মারা গেলেন সাত জন, আহত পনেরো জন।

সন্ধে শেষ হয়েছে। কিন্তু তখনও মানুষের ভিড় রয়েছে রাস্তায়। কেউ প্যান্ডেলে ঠাকুর দেখছে, কেউ আবার বিসর্জনের শোভাযাত্রায় বেরিয়েছে। ঠাকুর বিসর্জন করতে হুগলির বলাগড়ের ডুমুরদহ বাসস্ট্যান্ডে আসাম লিঙ্ক রোডে সবে উঠেছিলেন সংলগ্ন গ্রামের মানুষ। এমন সময়ে জিরাটের দিক থেকে প্রচন্ড গতিতে আসা একটি মারুতি সুইফট্ ডিজায়ার গাড়ি এসে ভিড়ের মধ্যে সটান ঢুকে যায়। ছিটকে পড়েন অনেকে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁদের চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় খোকা শেখ, কার্তিক মালিক, মনোরঞ্জন বাছার, চিরঞ্জিত মণ্ডল, বিমল রায়ের।

অন্য দিকে সাহাগঞ্জ এলাকাতেও একই ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হন দু’জন। ব্যান্ডেলের দিক থেকে আসা একটি মালবোঝাই ট্রাক খুব জোরে যাওয়ার সময় প্রথমে কেওটায় পুলিশ গার্ড রেল ভাঙে। এর পরে ঝাঁপপুকুরের কাছে কয়েকটি গাড়িকে পরপর ধাক্কা মারে ট্রাকটি। কাটোয়া রেল গেটের কাছে একটি টোটো যাত্রী বোঝাই ছিল, তাকে সজোরে ধাক্কা মেরে নির্মীয়মাণ রেল ওভারব্রিজের কাছে ঢুকিয়ে দেয়। ধাক্কা মারে পথচারীদেরও। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় এক জনের।
ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। আহতদের উদ্ধার করে চুঁচুড়া হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে রঘুনাথ দাস নামের এক টোটোচালকেরও মৃত্যু হয়। পাঁচ মহিলা-সহ আহত ন’জনের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে। ঘটনার পর পুলিশ পৌঁছলে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। শুরু হয় রাস্তা অবরোধ। অভিযোগ ওঠে, পুজোর জন্য নো-এন্ট্রি ছিল জিটি রোডে। তা ভেঙে কী করে একটি এত বড় লরি ঢুকে পড়ল!

চুঁচুড়া থানা থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী ও র‍্যাফ গিয়ে রাত একটা নাগাদ অবরোধ সরিয়ে দেয়।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*