গাঁজা কেনার জন্য রাতভর লাইন দিয়ে অপেক্ষা, এমনই ছবি ধরা পড়লো কানাডার অলিতে-গলিতে

Spread the love

গাঁজা কেনার জন্য রাতভর লাইন দিয়ে অপেক্ষা। তরুণ-তরুণী-বৃদ্ধ-বৃদ্ধা কে নেই সেই লাইনে। অপেক্ষা করতে হচ্ছে ঘন্টার পর ঘন্টা। তবুও ভিড়ের কমতি নেই। এমনটাই ছবি চোখে পড়ছে কানাডার অলিতে গলিতে। বহু জায়গাতেই পুরনো স্টক শেষ। রীতিমতো হাহাকার পড়ছে সেখানে। আর যারা পেয়েছে তারা রাস্তায় নেচে গেয়ে উৎসব করেছে। সম্প্রতি কানাডায় গাঁজা বেচাকিনি বৈধ করে দিয়েছে সেদেশের সরকার। গত ১৭ অক্টোবর খোলাবাজারে গাঁজা বিক্রি শুরু হয়। নতুন আইনের সুযোগে প্রথম দিন অনেকেই গাঁজার স্বাদ নিয়েছে। ফলে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করতে পারেননি দোকানিরা। বহু দোকান খালি হয়ে যায় এবং মজুদ শেষ হওয়ায় বিপাকে পড়ে গাঁজা বিক্রেতারা। একটু গাঁজার জন্য সবাই গাঁজার বেচাকেনার ওয়েবসাইটে ঢুঁ মেরেছে অথবা দোকানের সামনে লাইনে দাঁড়িয়েছে। শুধু কুইবেকেই বিপণিতেই অনলাইন-অফলাইন মিলিয়ে সাড়ে ৪২ হাজার ‘অর্ডার’ পড়েছে মাত্র দুদিনে।

এর মধ্যে ৩০ হাজার অনলাইনে আর সাড়ে ১২ হাজার মানুষ সরাসরি দোকানে লাইনে দাঁড়িয়ে গাঁজা সংগ্রহ করেছে। থমাস ক্লার্ক নামের এক দোকানি জানালেন, প্রথমদিন বিকেল ৪টা বাজতেই তাদের মজুদ শেষ হয়ে যায়। থমাস সরবরাহকারীর কাছ থেকে ৭০ হাজার ডলারের গাঁজা চেয়েছিলেন, কিন্তু তিনি পেয়েছেন মাত্র ১০ হাজার ডলারের। তা বিকেল ৪টার মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। উরুগুয়ের পর দ্বিতীয় দেশ হিসেবে কানাডা গাঁজা সেবনে বৈধতা দিয়েছে। স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির কথা বলে বহু মানুষ এই আইনের বিরোধিতাও করেছেন। তবে মাদকটির বৈধতার পক্ষে বিপুল জনমত রয়েছে উত্তর আমেরিকার দেশটিতে।২০১৫ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো তাঁর নির্বাচনী প্রচারণায় গাঁজার বৈধতাদানের প্রতিশ্রুতি দেন। চলতি বছর গাঁজা বৈধ করার জন্য আন্দোলনে নামে কানাডার মানুষ। তাদের হাতে ছিল ম্যাপল পাতার জায়গায় যে গাঁজার পাতা আঁকা কানাডার পতাকা।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*