রবিবার গভীর রাতে ফের সীমান্তে চলল গুলি। জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরি সেক্টরের কাছে সুন্দরবেনি এলাকায় লাইন অফ কন্ট্রোল পার করে ভারতীয় ভূ-খণ্ডে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল পাক অনুপ্রবেশকারীর দল। সেনাবাহিনীর নজরে চলে আসায় শুরু হয় গুলির লড়াই। নিহত হয়েছেন তিন জওয়ান। খতম হয়েছে দুই অনুপ্রবেশকারীও। আহত অবস্থায় আর এক জওয়ান চিকিৎসাধীন রয়েছেন উধমপুরে আর্মির কম্যান্ড হাসপাতালে। সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত স্থিতিশীল রয়েছেন তিনি।
সেনা সূত্রে খবর, সম্ভবত খতম দুই অনুপ্রবেশকারী পাকিস্তানের বর্ডার অ্যাকশন টিম (BAT)-এর সদস্য। এই সংগঠন পাক সেনাবাহিনীর একটা অংশ। এবং শোনা যায় এরা জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে রবিবার রাত পৌনে দুটো নাগাদ সুন্দরবেনি সেক্টরের কাছে লাইন অফ কন্ট্রোল বরাবর অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে একদল সশস্ত্র অনুপ্রবেশকারী। সেনাবাহিনীর উপর অতর্কিতে আক্রমণ চালায় তারা। পাল্টা জবাব দেয় সেনাবাহিনী। সেনার গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় দুই অনুপ্রবেশকারী। অন্যদিকে অনুপ্রবেশকারীদের গুলিতে শহিদ হয়েছেন তিন জওয়ান। এই ঘটনার পর অনুপ্রবেশকারীদের থেকে একে-৪৭ রাইফেল উদ্ধার করেছে সেনা।
এ দিকে রবিবার সকালে উত্তপ্ত হয়েছিল দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম। লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের খোঁজে কুলগামের লারো এলাকায় চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। টের পেতেই আক্রমণ শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেয় সেনাবাহিনী। সেনা-জঙ্গির গুলির লড়াইয়ে খতম হয় ৩ জঙ্গি। আহত হন ২ সেনা জওয়ান। সংঘর্ষের পরে কুলগাম থেকে একে-৪৭, গ্রেনেড লঞ্চার, দু’টি চাইনিজ পিস্তল, তিনটি গ্রেনেড এবং আর কিছু অস্ত্র উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী।
কিন্তু এই এনকাউন্টারের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উপত্যকা। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সকালে ৩ জঙ্গির নিকেশ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পরেই ওই এলাকায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভকারীরা। এনকাউন্টার শেষে এলাকা থেকে সরে যায় বাহিনী। আর তারপরেই স্থানীয় একটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। এরপরে ঘটে একটি বিস্ফোরণ। মৃত্যু হয় ছয় জন স্থানীয় বাসিন্দার। আহত অবস্থায় প্রায় ৪০ জনকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। এদের মধ্যে অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।
Be the first to comment