গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হল এক বিজেপি কর্মীর দেহ। লাভপুরের দারকা গ্রামের এই ঘটনায় অনেকেরই মনে পড়ে যাচ্ছে, মে-জুন মাসে ঠিক একই কায়দায় পুরুলিয়ার বলরামপুরে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া দুই বিজেপি কর্মী ত্রিলোচন মাহাতো এবং দুলাল কুমারের কথা।
রবিবার দারকা গ্রামে, ময়ূরাক্ষী নদীর ধারের একটি গাছ থেকে বছর চল্লিশের তাপস বাগদির দেহ উদ্ধারের পরে অভিযোগের আঙুল উঠেছে শাসক দল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। যদিও ঘনাটি আত্মহত্যা নাকি খুন, তা নিয়ে এখনও অন্ধকারে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রের খবর, বুথ লেভেলের বিজেপি কর্মী ছিলেন তাপস। পরশু, ১৯ তারিখে স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মীর সঙ্গে তাপসের বড়সড় ঝামেলা হয়। তার পর থেকেই তাপস মানসিক ভাবে বেশ চাপে ছিলেন বলে দাবি পরিবারের সদস্যদের। এ কথা জানিয়েই খুনের অভিযোগ তোলেন তাঁরা। তবে কোনও লিখিত অভিযোগ এখনও দায়ের হয়নি।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর আটচল্লিশ ঘণ্টার ব্যবধানে বলরামপুরের দুই বিজেপি কর্মীর মৃত্যু রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল। দিল্লি থেকে এসেছিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। দফায় দফায় বলরামপুর গিয়েছিলেন বিজেপি-র রাজ্য নেতারাও।
এমনিতেই রবিবার দুপুর থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বীরভূমের রাজনৈতিক ময়দান। পুজো মিটতে না মিটতেই রাজনৈতিক হিংসা শুরু হয়ে গিয়েছে। বাড়ি ফেরার সময় তৃণমূলের খয়রাশোল ব্লক সভাপতি দীপক ঘোষকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। মারা হয় ধারালো অস্ত্রের কোপও। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে দুর্গাপুর মিশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার এই জেলার রাজনৈতিক উত্তাপ কয়েক গুণ বাড়াবে বলেই মত অনেকের।
Be the first to comment