শ্বাসরোধ করে স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগ উঠল দিল্লির বাসিন্দা বছর চব্বিশের এক যুবকের বিরুদ্ধে। নিজের দু’বছরের মেয়ের সামনেই স্ত্রীকে খুন করেছেন ওই যুবক। তারপর ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে মেয়েকে কোলে নিয়ে বসেছিলেন স্ত্রী’র মৃতদেহের পাশে। এরপর রবিবার থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন ওই যুবক।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে দিল্লির কমলা মার্কেট এলাকায়। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিওনের চাকরি করতেন অভিযুক্ত। স্ত্রী’র বিবাহ বহির্ভূত কোনও সম্পর্ক রয়েছে এমনটাই সন্দেহ করতেন তিনি। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান এই সন্দেহের বশেই স্ত্রীকে খুন করেছেন ওই যুবক। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম কামিল। ইতিমধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। থানায় আত্মসমর্পণ করার পর কমলা মার্কেটে কামিলের বাড়িতে যায় পুলিশ। উদ্ধার হয় বাইশ বছরের রেশমার নিথর দেহ।
এ দিকে রেশমার পরিবারের দাবি, পণের জন্য রেশমাকে অত্যাচার করে মেরে ফেলেছে কামিল। পণ আদায় এবং খুনের অভিযোগে কামিলের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী মামলা রুজু করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, থানায় আত্মসমর্পণ করতে আসার সময় মেয়েকেও সঙ্গে এনেছিলেন কামিল। কিন্তু রেশমার পরিবার বাচ্চাটির দায়িত্ব নিতে চায়নি। তাই কামিলের পরিবারকেই আপাতত ওই বাচ্চার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
পুলিশের ডেপুটি কমিশনার মনদীপ সিং রনধাওয়া জানিয়েছেন, রবিবার দুপুর দু’টো নাগাদ থানায় আসেন কামিল। কর্তব্যরত অফিসারকে জানান নিজের স্ত্রীকে খুন করেছেন তিনি। প্রাথমিক ভাবে থানায় উপস্থিত সবাই ভেবেছিলেন মত্ত অবস্থায় ভুলভাল বকছেন যুবক। কিন্তু সত্যিই এমন ঘটনা ঘটেছে কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতেই কামিলের বাড়ির দিকে রওনা দেয় পুলিশ। এরপরেই সামনে আসে আসল তথ্য।
পুলিশ জানিয়েছে, রেশমার গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। লোক নায়ক হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় রেশমার দেহ। সেখানকার চিকিৎসকেরাই জানান, শ্বাসরোধের কারণেই মৃত্যু হয়েছে রেশমার।
জেরায় কামিল জানিয়েছেন, বছর তিনেক আগে রেশমার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। কিন্তু বিবাহ বহির্ভূত কোনও সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। গত ১৮ অক্টোবর মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়ি যান রেশমা। পরের দিনই ফিরে আসেন। ১৯ অক্টোবর রাতে তুমুল বচসা হয় তাঁদের মধ্যে। এবং সেই সময়েই রেশমাকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছেন কামিল।
Be the first to comment