তিনি গুজরাট ক্যাডারের আইপিএস। গোধরা কাণ্ডে বিশেষ তদন্তকারী দলের মাথায় ছিলেন তিনিই। অনেকেই বলেন এই আইপিএস অফিসার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অত্যন্ত স্নেহভাজন। সিবিআইয়ের ‘গ্যাং ওয়ার’-এর জেরে পুরনো আস্তানায় ফেরৎ পাঠানো হতে পারে স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানাকে। জল্পনা তেমনই।
প্রসঙ্গত, মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর গুজরাট থেকে দিল্লিতে নিয়ে আসা হয় আস্থানাকে। দায়িত্ব দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অস্থায়ী ডিরেক্টরের। এরপর অলোক ভার্মা স্থায়ী ডিরেক্টর পদে নিযুক্ত হওয়ার পর আস্থানাকে না সরিয়ে রেখে দেওয়া হয় স্পেশাল ডিরেক্টর করে। মাস কয়েক আগে থেকেই সিবিআইয়ের অন্দরে শুরু হয়ে যায় লড়াই। অলোক ভার্মা বনাম রাকেশ আস্থানা।
গোটা বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে মাস খানেক আগে। যখন সিবিআই ডিরেক্টর অলোক ভার্মার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনে নালিশ ঠুকেছিলেন আস্থানা। সিবিআইয়ের অনেকের মতে, এজেন্সির শীর্ষ পদের জন্য দাবিদার হয়ে উঠতেই এ কাজ করেছিলেন আস্থানা। কিন্তু আস্থানার ওই নালিশের বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ করেন সিবিআই ডিরেক্টর। ভিজিল্যান্স কমিশনকে চিঠি লিখে সিবিআইয়ের তরফে বলা হয়, অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে এই অভিযোগ করা হয়েছে। তা ছাড়া এমন একজন এই অভিযোগ করেছেন যাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি দুর্নীতি মামলা রয়েছে।
এর মধ্যেই আস্থানার বিরুদ্ধে এফআইআর করে দিয়েছে সিবিআই। যা সিবিয়াইয়ের ইতিহাসে নজিরবিহীন বলেই মত অনেকের। মঈন কুরেশি দুর্নীতি মামলায় সোমবার গ্রেফতার হয়েছেন ডিএসপি র্যাঙ্কের অফিসার দেবেন্দ্র কুমার। আগেই সেন্ট্রাল ভিজিলেন্স কমিশনে অলোক ভার্মা জানিয়ে দিয়েছিলেন আস্থানা মোটেও সুবিধের নয়। তাঁর নামেই রয়েছে ঘুষ নিয়ে তদন্ত থেকে রেহাই দেওয়ার মতো একাধিক অভিযোগ। তাই তাঁর কথায় আমল দেওয়ার দরকার নেই। এখন শোনা যাচ্ছে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে অলোক ভার্মা চিঠি দিয়ে সুপারিশ করেছেন আস্থানাকে সাসপেন্ড করার।
এরমধ্যেই আসরে নামতে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। বিরোধীরা প্রায়ই অভিযোগ করেন কেন্দ্রের মোদী সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে সিবিআই, ইডি-র মতো এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করে। সিবিআইয়ের এই ‘গ্যাং ওয়ার’ সামাল দেওয়ার রাস্তা হিসেবে মোদী বেছে নিতে পারেন অন্য পথ। আস্থানাকে ফেরৎ পাঠানো হতে পারে গুজরাটে। লুটিয়েন দিল্লির আমলা মহলে জল্পনা তুঙ্গে।
Be the first to comment