শেষ রক্ষা হলো না। দশ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ার পর মঙ্গলবার সকালে মৃত্যু হলো দেহরক্ষীর গুলিতে জখম গুরগাঁওয়ের বিচারকের ছেলের। গত ১৩ অক্টোবর থেকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল ১৮ বছরের ধ্রুব শর্মাকে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মাল্টি অরগ্যান ফেলইওর হয়ে মৃত্যু হয়েছে ধ্রুবর।
ঘটনাস্থলেই সে দিন মৃত্যু হয়েছিল গুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারক কৃষ্ণকান্ত শর্মার স্ত্রীর। ভরা বাজারে এই ঘটনায় চমকে উঠেছিলেন পথচলতি মানুষ। নিজের সার্ভিস রিভলভার থেকেই প্রথমে রিতুকে গুলি করেন মহীপাল সিং। এর পরেই নিশানা করেন ধ্রুবকে। ধ্রুবের মাথায়, কান ও ঘাড়ে গুলি লাগে। রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে সে। তাঁদের দু’জনকে রাস্তায় ফেলে রেখেই গাড়ি নিয়ে চম্পট দেন মহীপাল। গত দু’বছর ধরে বিচারকের দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করছিলেন মহীপাল। গুলি করার পর নিজেই বিচারককে ফোন করে জানিয়েছিলেন সে কথা।
গ্রেফতার হওয়ার পর মহীপাল এও স্বীকার করেছে, বিচারকের পরিবারের সঙ্গে তার সম্পর্ক ভাল ছিল। কিন্তু সে দিন মাথা গরম হওয়ায় গুলিয়ে চালিয়ে দিয়েছিলেন।
Be the first to comment