জনগণকে ভোট দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা বোঝানোর জন্য মদের বোতলের উপর স্টিকার লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মধ্যপ্রদেশের ঝাবুয়া জেলা প্রশাসন। লাগানোও হয়েছিল স্টিকার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তুলে নেওয়া হয়েছে সব স্টিকার।
জানা গেছে, ঝাবুয়া জেলার সব মদের দোকান মিলিয়ে প্রায় ২ লাখ বোতলের উপর লাগানো হয়েছিল এই স্টিকার। স্টিকারে লেখা ছিল, “আমাদের ভোট দেওয়া উচিত। আমাদের এই প্রতিজ্ঞা নিতে হবে।” কিন্তু এই স্টিকার লাগানোর পর অনেকেই মন্তব্য করেন, ঠিক যেন মদের ক্ষতিকারক প্রভাব বোঝানোর জন্য বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণের মতো লাগছে এই স্টিকার।
ঝাবুয়া জেলার জেলাশাসক আশিস সাক্সেনা বলেন, “জনগণের মধ্যে ভোট দানের প্রয়োজনীয়তার কথা প্রচার করার উদ্দেশ্যেই এই স্টিকার লাগানো হয়েছিল। কিন্তু আমি এক্সাইজ দফতরকে বলে দিয়েছি সব বোতলের উপর থেকে স্টিকার সরিয়ে নেওয়ার জন্য। এর বদলে আমরা জেলার প্রায় ২ লাখ বাড়ির দেওয়ালে এই বার্তা লিখিয়েছি। রেশন কার্ডেও এই বার্তা লিখে দেওয়া হয়েছে।”
কিন্তু হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত বদল?
এই ঘটনা সামনে আসার পরেই বিরোধী দল কংগ্রেস ও জয় আদিবাসী যুব সংস্থান এর বিরোধিতা করে। কংগ্রেসের মধ্যপ্রদেশের মুখপাত্র দুর্গেশ শর্মা বলেন, ” এর মাধ্যমে ভোটারদের প্রভাবিত করা হচ্ছে। এটা নির্বাচন বিধি লঙ্ঘন করার ঘটনা। এর তদন্ত হওয়া উচিত। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।” বিরোধিতার পরেই পিছু হটে প্রশাসন।
মধ্যপ্রদেশের পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত এই শহর মূলত গুজরাট ও রাজস্থানের সীমান্ত ঘেঁষা। এখানকার প্রায় ৮৭ শতাংশ ভোটার তপশিলি উপজাতিভুক্ত। এখানকার তিনটি বিধানসভার মধ্যে ঝাবুয়া ও পেটলাবাদ বিজেপি’র দখলে। অন্য বিধানসভা টান্ডলা নির্দল প্রার্থীর দখলে।
কিন্তু ২০১৫ সালে রতলাম লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়ে জয়ী হন কংগ্রেস প্রার্থী কান্তিলাল ভুরিয়া। এই রতলাম লোকসভার মধ্যেই পরে ঝাবুয়া, টান্ডলা ও পেটলাবাদ বিধানসভা। তাই ২৮ নভেম্বরের নির্বাচনে এখানে কংগ্রেস ও বিজেপি’র মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে বলে মত রাজনৈতিক মহলের। সেই কারণেই নির্বাচনের আগে যাতে কোনও অশান্তি না হয়, তার জন্যই নিজেদের সিদ্ধান্ত প্রশাসন প্রত্যাহার করল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
Be the first to comment