টেলিকম শিল্পে প্রতিযোগিতা বেড়ে ওঠার ফলে বিপদে পড়তে চলেছেন কর্মীরা। দেশের প্রথম সারির অনলাইন জব পোর্টাল টিমলিজ সার্ভিসেস-এর হিসাবমতো চলতি আর্থিক বছর শেষ হওয়ার আগেই টেলিকম শিল্পের ৬৫ হাজার কর্মী কাজ হারাতে পারেন। কাস্টমার সাপোর্ট ও ফিনান্সিয়াল সার্ভিস, এই দুটি ক্ষেত্রের কর্মীদের বিপদ সবচেয়ে বেশি। দুই দফতরের সঙ্গে যুক্ত প্রায় ১৫ হাজার জন কাজ হারাতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
টেলিকম বাজারে রিলায়েন্স জিও প্রবেশ করার পরেই উল্টে গিয়েছে আগের সব হিসাব নিকাশ। প্রতিযোগিতা বেড়েছে বহুগুণ। কোম্পানিগুলির মুনাফা কমেছে। আগের কাস্টমারদের ধরে রাখা, তাদের কম পয়সায় পরিষেবা দেওয়া, এই দুটি কাজ করতে গিয়েই নাভিশ্বাস উঠছে বেশিরভাগ টেলিকম সংস্থার। তবে এরই মধ্যে খানিক স্বস্তির খবর হল, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ও আইটি ইনফ্রাস্ট্রাকচারে কাজের সুযোগ বাড়ছে।
র্যান্সট্যাড ইন্ডিয়া নামে অপর এক রিক্রুটমেন্ট ফার্মও বলেছে, ২০১৯ সালের মধ্যে টেলিকম শিল্পে ৬০ থেকে ৭৫ হাজার কাজ কমবে। ২০২০ সালেও সম্ভবত একই সংখ্যক কর্মী ছাঁটাই হবেন ।
টেলিকম শিল্পে ছাঁটাই শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। পর্যবেক্ষকদের মতে, ২০১৬ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় দেড় লক্ষ কাজ কমেছে। টেলিকম শিল্পের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য শিল্পেও কাজ কমেছে এক লক্ষ ২৫ হাজার থেকে দেড় লক্ষ। বিভিন্ন কোম্পানি খরচ কমানোর ফলেই কমে গিয়েছে চাকরি। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রিলায়েন্স জিও টেলিকম ক্ষেত্রে প্রবেশ করে। তখন থেকে প্রবল প্রতিযোগিতার মুখে পড়ে টাটা ডোকোমো, আইডিয়া সেলুলার, ভারতী এয়ারটেলের মতো সংস্থা। চলতি বছরের শেষেই রিলায়েন্স জিও হয়ে উঠবে দেশের সবচেয়ে বড় টেলিকম সংস্থা। কোম্পানির বহর বেড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বিপুল সংখ্যক কর্মী নিয়োগ করেছে রিলায়েন্স জিও। ২০১৮-১৯ এর আর্থিক বছরে সংস্থাটি ৭৫ থেকে ৮০ হাজার কর্মী নিয়োগ করবে বলে জানা গিয়েছে।
Be the first to comment