মুম্বইয়ের এলফিনস্টোন ফুটব্রিজে পদপিষ্টের দুর্ঘটনার ভয়ানক স্মৃতি ফিরে এল সাতরাগাঁছিতে। পর পর ৮টি ট্রেনের ঘোষণা ৩টি প্ল্যাটফর্মে, আর তার জেরেই শুরু হয় ঠেলাঠেলি। কিছুক্ষণের মধ্যেই ফুটব্রিজের ঠাসাঠাসি ভিড় বেসামালা হয়ে ওঠে। সাঁতরাগাছি স্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ২ জনের। মৃত তাসের সর্দার(৬১) মুর্শিদাবাদের নাশীপুরের বাসিন্দা ,অন্যজন কোলাঘাটের বাসন্দা কালাকান্ত সিংহ(৩২)।
এখনও পর্যন্ত ঘটনায় আহত ১২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রথমে সাঁতরাগাছি রেল হাসপাতাল ,পরে হাওড়া জেনারেল হাসপাতালে এদের ভর্তি করা হয়। যে ১২ জন আহত অবস্থায় হাওড়া হাসপাতালে ভর্তি তাঁরা হলেন, গৌরী হেমব্রম, অর্ণা সাউ, অক্ষ সাউ, শেখ রাহুল আমিন, অমরেন্দ্র নাথ দত্ত, অনীশ সোম, শেখ আক্রামুল হক, গৌর নিতাই সাহা, শিল্পা ওঁরাও, হনুমত সাউ, কিরণ সাউ এবং আশিস সাঁতরা। আহতদের মধ্যে তিন জনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাওড়ার ২টি বেসরকারি হাসপাতালেও স্থানান্তর করা হয়।এর মধ্যে রয়েছে একজন শিশু, আকসত সাউ নামে ওই শিশুর বয়স ১০।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাঁতরাগাছি স্টেশনের তিনটি প্ল্যাটফর্মে মোট ৮ টি গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনের ঘোষণা হয়। জানা যাচ্ছে, সাড়ে ৫টা থেকে সাড়ে ৬টার মধ্যে এই ৮ ট্রেনের ঘোষণা। ট্রেনগুলির মধ্যে ছিল আপ মেদিনীপুর লোকাল, নাগেরকোল, শালিমার-বিশাখাপত্তনম সহ ৮টি ট্রেন। স্বভাবতই, একসঙ্গে এতগুলো ট্রেনের ঘোষণায় দিশেহারা হয়ে ওঠেন যাত্রীরা। কোন প্ল্যাটফর্মে কোন ট্রেন আসবে তা স্পষ্ট না হওয়ায় বাড়ে আতঙ্ক। সবমিলিয়ে কয়েক মিনিটে পরিস্থিতি ভয়ানক আকার নেয়।
১, ২ ও ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ৮টি ট্রেনের ঘোষণা হওয়ায় ১ নম্বর ফুট ব্রিজ থেকেই হুড়োহুড়ি শুরু হয়। যা ভয়ানক আকার নেয় ২ ও ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝে থাকা ফুটব্রিজে। ১ নম্বর থেকে ওঠা ফুটব্রিজই গোটা সাঁতরাগছি স্টেশনকে কভার করে। তাই প্রত্যেকেই গন্তব্যে পৌঁছতে একই জায়গায় ভিড় করেন, এর ফলে পদপিষ্ট হয়ে যান বেশ কয়েকজন যাত্রী। ফুটব্রিজ থেকে পড়েও যান কয়েকজন।
Be the first to comment