বেশির ভাগটাই তাঁর লেখা বই। আর কিছুটা তাঁকে নিয়ে লেখা বই। এই নিয়েই নতুন করে দেড় লক্ষ টাকা খরচ করে লাইব্রেরি সাজানো হল পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের ওয়েটিং রুমে। দুটি নতুন আলমারিতে থরে থরে সাজানো বই। বিভিন্ন কাজে কর্মে জেলা পরিষদে যাঁদের নিত্য যাতায়াত, এই বইগুলো পড়ে উন্নয়নকে খুব কাছ থেকে দেখুক তাঁরা। এমনটাই চাইছেন সভাধিপতি আর সহ সভাধিপতি।
আগের বোর্ডের মেয়াদ ফুরোনোর আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা বইয়ের সম্ভার নিয়ে তৈরি করা হয়েছিল এই লাইব্রেরি। তবে ধারে ও ভারে তখন ব্যাপ্তি ছিল নেহাতই ছোটখাটো। নতুন বোর্ডে সভাধিপতি শম্পা ধাড়া ও সহ সভাধিপতি দেবু টুডু শপথ নেওয়ার পরের দিনই আনুষ্ঠানিকভাবে এই লাইব্রেরির সূচনা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর লেখা প্রায় সব বই এনে রাখা হয় এখানে। কারণ নানা কাজে প্রতিদিন বহু মানুষকে আসতে হয় জেলা পরিষদে। বসে থাকার ফাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর ভাবনার সঙ্গে পরিচিত হোন তাঁরাও।
আগের বোর্ডে সভাধিপতি ছিলেন দেবু টুডু। আর সহকারী সভাধিপতি ছিলেন শম্পা ধাড়া। বর্তমান বোর্ডে শম্পাদেবী সভাধিপতি ও আর দেবুবাবু সহকারী সভাধিপতি নির্বাচিত হয়েছেন। শম্পাদেবী বলেন, ‘‘আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। রাজ্যের উন্নয়নের কাণ্ডারী তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর বই আমাদের সকলকেই অনুপ্রাণিত করে। ভাল কাজ করার উৎসাহ দেয়। সেই কথা মাথায় রেখেই সকলের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর বই পড়ার ব্যবস্থা করা হল জেলা পরিষদে।’’
দেবু টুডু বলেন, ‘‘আগের বোর্ডেও আমরাই ছিলাম। তখনই মুখ্যমন্ত্রীর লেখা সবাইকে পড়ানোর সুযোগ করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। এ বার সেটাই পূর্ণতা পেল। নতুন করে প্রায় দেড় লক্ষ টাকার বই কেনা হয়েছে। জেলা পরিষদে আসা সকলেই এখানে বসে মুখ্যমন্ত্রীর লেখা সব বই পড়ার সুযোগ পাবেন।’’
‘‘অমৃতলোক প্রথম আবিষ্কার করিয়া যে যে মহাপুরুষ যে-কোনদিন আপনার চারিদিকে মানুষকে ডাক দিয়া বলিয়াছিলেন ‘তোমরা সকলে অমৃতের পুত্র, তোমরা দিব্যধামে বাস করিতেছ’ সেই মহাপুরুষদের কণ্ঠই সহস্র ভাষায় সহস্র বৎসরের মধ্য দিয়া এই লাইব্রেরির মধ্যে প্রতিধ্বনিত হইতেছে।’’ মুখ্যমন্ত্রীর প্রাণের কবি রবি ঠাকুরের কাছে লাইব্রেরি ছিল ঠিক এমনটাই। তবে তাঁর অনুগামীদের কাছে উন্নয়নের মন্ত্রই সব। তাই জেলা পরিষদে আসা মানুষজন শুধু উন্নয়নকেই চিনে নিক, আপাতত জেলা পরিষদের লাইব্রেরি ভাবনার পরিসর এটুকুই।
Be the first to comment