মন কষাকষি চলছিল বেশ কয়েকদিন ধরেই। ঝামেলাটা বাধে মঙ্গলবার সন্ধেয় স্কুলের হোস্টেলে। প্রথমে বচসা, পরে হাতাহাতি। শেষে সিনিয়র ‘দাদা’র মারের চোটে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া। ঘটনাকে ঘিরে বুধবার সকাল থেকেই অভিভাবকদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত তেলঙ্গানার একটি সরকারি স্কুল চত্বর।
খাম্মাম জেলায় স্কুলটি মূলত আদিবাসী পড়ুয়াদের জন্য। স্কুল লাগোয়া হোস্টেলও রয়েছে। কর্তৃপক্ষদের কথায়, অভিযুক্ত পড়ুয়ার বয়স বছর পনেরো। তবে সে ওই স্কুলের ছাত্র নয়। এলাকারই অন্য একটি বেসরকারি স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র সে। তবে, থাকে ওই হোস্টেলেই। তার বিরুদ্ধে আগেও একাধিক বার হোস্টেলের খুদে পড়ুয়াদের সঙ্গে বচসায় জড়ানোর অভিযোগ রয়েছে।
মৃত পড়ুয়ার নাম ডি জোসেফ। হোস্টেলের অন্যান্য পড়ুয়াদের কথায়, সকালে অভিযুক্ত ছাত্রের সঙ্গে সাইকেলে চেপে জোসেফ কোথাও একটা গেছিল। বিকেলের দিকে হোস্টেলে ফিরে আসার পরই দু’জনের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। তুমুল ঝগড়া শেষে হাতাহাতির চেহারা নেয়। বচসার মাঝেই সিনিয়র ছাত্রটি একটি টিনের ট্রাঙ্ক তুলে জোসেফের দিকে ছুঁড়ে মারে। সেই ট্রাঙ্ক গিয়ে লাগে জোসেফের মাথায়। মাথা ফেটে রক্তাক্ত হয়ে লুটিয়ে পড়ে সে। খবর পেয়ে ছুটে এসে ওয়ার্ডেনই তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও হোস্টেল ওয়ার্ডেনের থেকে বিশেষ কোনও তথ্য় পাওযা যায়নি। তাঁরা জানিয়েছেন ঘটনার সময় কেউই নাকি আশপাশে ছিলেন না। অভিযুক্ত ছাত্রকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
Be the first to comment