সিবিআইয়ের ডিরেক্টর ও স্পেশ্যাল ডিরেক্টর নিজেদের মধ্যে লড়াই করছিলেন গত এক মাস ধরে। দুজনকেই ছুটিতে পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিরোধীরা সরকারের সিদ্ধান্তে রীতিমতো ক্ষুব্ধ। তাঁদের বক্তব্য, সিবিআইয়ের কেলেঙ্কারি ধামাচাপা দিতে এভাবে তড়িঘড়ি দুজনকে সরিয়ে দেওয়া হল। অনেকে বলছেন, এতদিন সিবিআইয়ের যেটুকু স্বাধীনতা ছিল, এবার তাও রইল না। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করেছেন, সিবিআই এখন হয়ে গিয়েছে বি বি আই । বিজেপি ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন ।
কংগ্রেস টুইটারে পোস্ট করেছে, সিবিআইয়ের মধ্যে ঝগড়ায় প্রধানমন্ত্রীর অফিস একটি পক্ষ নিয়েছে। এক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত হল দেশের জনগণ। বিজেপির স্বৈরাচারের মুখে আর একটি সংস্থা ধ্বংস হয়ে গেল।
কংগ্রেসের মুখপাত্র অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি লিখেছেন, সিবিআইয়ের ডিরেক্টরের কার্যকাল শেষ হওয়ার আগে এভাবে সরিয়ে দেওয়া বেআইনি। অপর কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা বলেন, খুব পরিকল্পনা করে ধ্বংস করা হচ্ছে সিবিআইকে। একসময় সিবিআই ছিল শীর্ষস্থানীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রধানমন্ত্রী তার সততা, সুনাম ও নির্ভরযোগ্যতা সবই শেষ করে দিয়েছেন।
সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি টুইট করেছেন, মোদী গভর্নমেন্ট তার ঘনিষ্ঠ এক অফিসারকে বাঁচাতে সিবিআইয়ের ডিরেক্টরকে বেআইনিভাবে সরিয়ে দিল। সেই অফিসারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলায় তদন্ত চলছে। তাঁর সঙ্গে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বেরও যোগাযোগ আছে। পাছে সব জানাজানি হয়ে যায়, তাই ডিরেক্টরকে এভাবে সরিয়ে দেওয়া হল।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রশ্ন তুলেছেন, রাফায়েল ডিলের সঙ্গে সিবিআই কর্তাকে সরিয়ে দেওয়ার কোনও সম্পর্ক আছে কি?
Be the first to comment