গত শুক্রবার শবরীমালায় আয়াপ্পান মন্দিরের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন সমাজকর্মী রেহানা ফতিমা। তার পর থেকেই বিপাকে পড়েছেন তিনি। পেশায় তিনি বিএসএনএলের কর্মী। কোচির বোট জেটি শাখায় কাস্টমার রিলেশনস দফতরে কাজ করতেন। তাঁকে বদলি করা হয়েছে পালারিবত্তম টেলিফোন এক্সচেঞ্জে। সেখানে তাঁকে সরাসরি গ্রাহকদের মুখোমুখি হতে হবে না।
ফতিমাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার দাবিতে মঙ্গলবার পালারিবত্তম টেলিফোন এক্সচেঞ্জের সামনে মিছিল করেছে শবরীমালা কর্মসমিতি। তিনি অবশ্য নতুন অফিসে ডিউটিতে জয়েন করেছেন। এর আগে ‘লক্ষ লক্ষ হিন্দু ভক্তের ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে’ কেৱল মুসলিম জামাত কাউন্সিল ফতিমাকে বহিষ্কার করে। তাঁর বাড়িতেও একদল লোক ভাঙচুর চালায়।
২৮ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ রায় দেয়, কেরলের আয়াপ্পান মন্দিরে ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সী মেয়েদের ঢুকতে না দেওয়ার যে প্রথা আছে তা সংবিধানের বিরোধী। তার পরে ভক্তরা বিক্ষোভ দেখতে থাকেন। তাঁদের দাবি, মন্দিরে বহুকাল ধরে যে প্রথা চালু আছে, তা ভাঙা ঠিক নয়। অক্টোবরে মোট পাঁচদিন মন্দির খোলা ছিল। তার মধ্যে ১২ জন ৫০ এর কমবয়সী মহিলা মন্দিরে ঢুকতে গিয়েও ভক্তদের বাধায় পিছিয়ে এসেছেন।
Be the first to comment