“Technology for mankind”-এই আপ্তবাক্যটা সকলেই জানি। তবে মুম্বইয়ের একটি ঘটনা আরও একবার ভাবাচ্ছে সত্যিই কি তাই! নাকি প্রযুক্তির অগ্রগতিটা কেবলই খারাপের দিকে, ভালটা সেখানে নগন্য।
আমাদের রোজনামচায় এই কথাগুলো আজ বড়ই প্রাসঙ্গিক, কারণ সোশ্যাল মিডিয়া এবং মোবাইল অ্যাপের বাড়বাড়ন্তে মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য সহজেই হাতের মুঠোয় চলে আসতে পারে। আর তাকে ব্যবহার করেই অশ্লীল মেসেজ থেকে যৌনতার কুৎসিত ইঙ্গিত সহজেই আমাদের দরজায় এসে কড়া নাড়ে।
তেমনটাই হয়েছে পূর্ব বরিভলির বছর তেত্রিশের এক মহিলার সঙ্গে। মহিলার অভিযোগ, তাঁর মোবাইল নম্বরে দিনকয়েক ধরেই একটি অজানা নম্বর থেকে অশ্লীল মেসেজ আসছিল। প্রথমে হাই, হ্যালো সম্বোধন। তারপর সরাসরি যৌন সম্পর্ক স্থাপনের ইঙ্গিত। মহিলার থেকে লিখিত অভিযোগ মেলার পরই তদন্তে নামেন মুম্বই গোয়েন্দা শাখার অফিসাররা। তৈরি হয় ১২ জনের একটি তদন্তকারী টিম। অফিসাররা জানান, মহিলার মোবাইলে আসা অজানা নম্বরের সূত্র ধরেই সন্ধান মেলে অপরাধীর। নাম আনিফ আনসারি। সোমবার পূর্ব বান্দ্রা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আনিফের বাড়ি বান্দ্রার নওপাড়ায়। পেশায় সেলসম্যান। বাড়ি বাড়ি ঘুরে ইলেকট্রনিক্সের জিনিসপত্র বেচাই তার কাজ। ওই কাজ করতে গিয়েই মোবাইলের নানা অ্যাপ্লিকেশন ও মোবাইল অ্যাপ সম্বন্ধে হাত পাকিয়ে ফেলেছে সে। তদন্তকারীদের কথায়, মূলত অ্যান্ড্রয়েড ফোনের গুগল প্লে স্টোর থেকে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করেছিল আনিফ, যাতে সহজেই হোয়াটস্অ্যাপে বিভিন্ন নম্বর ও তাদের ডিসপ্লে দেখা যায়। সেই ডিসপ্লের ছবি দেখেই মেয়েদের নম্বর বার করে মোবাইলে সেভ করে রাখত সে। পরে সেই সব নম্বরে মেসেজ পাঠাত। এমন ৩০০০ মহিলার ফোন নম্বর পাওয়া গেছে আনিফের মোবাইলে।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে সামান্য সম্বোধন পাঠাত আনিফ। বেশিরভাগই অজানা নম্বর দেখে তাকে ব্লক করে দিত। যে সব মহিলারা সাড়া দিতেন তাঁদেরই ফের মেসেজ পাঠাতে শুরু করত সে। সেই সব মেসেজে থাকত যৌনবার্তা। গত জুলাই মাস থেকে এমন কীর্তি করে চলেছে সে। আনিফের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে আরও খুঁটিনাটির দিকে চোখ রাখছে পুলিশ।
Be the first to comment