তামিলনাড়ুর ই পালানিস্বামী সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন তাঁর দল এডিএমকে-র ১৮ বিধায়ক। তাঁরা রাজ্যপালের কাছে আবেদন করেন, সরকার সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে। পালানিস্বামীকে বরখাস্ত করা হোক। বিধানসভার স্পিকার দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগ করে উল্টে ১৮ জনকেই বরখাস্ত করেছিলেন। তাঁরা ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে আবেদন জানিয়েছিলেন হাইকোর্টে। বিচারপতিও বৃহস্পতিবার রায় দিলেন, ১৮ জনের বিধায়ক থাকার অধিকার নেই।
বিদ্রোহী বিধায়করা এডিএমকে-র প্রয়াত নেত্রী জয়ললিতার বন্ধু শশীকলার অনুগামী। শশীকলার ভাইপো টি ভি দীনাকরণ এই গোষ্ঠীর বড় নেতা। তাঁদের অনুগামী বিধায়করা আদালতে জয়ী হলে পালানিস্বামীর সরকার বিধানসভায় সংখ্যালঘু হয়ে পড়ত। অর্থাৎ বিরোধী দল ও বিদ্রোহী বিধায়কদের সংখ্যা যোগ করলে শাসক দলের চেয়ে বেশি হত । এখন ১৮ জন বরখাস্ত হওয়ায় তামিলনাড়ুর মোট ২০ টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হবে। ১৮ জন বরখাস্ত হয়েছেন। দুই বিধায়ক মারা গিয়েছেন। সেই দুই শূন্য আসনেও ভোট হবে।
দীনাকরণের দাবি, উপনির্বাচনে তাঁরা জিতবেন। হাইকোর্টের রায়ে তাঁদের কোনও ক্ষতি হবে না। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে যাবেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন।
জয়ললিতার মৃত্যুর পরে শশীকলাই এডিএমকে-র শীর্ষ পদে বসেছিলেন। তাঁরই মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার কথা ছিল। পালানিস্বামী যাতে বিধায়কদের কাউকে ভাঙিয়ে না নিতে পারেন, সেজন্য তাঁদের একটি রিসর্টে রেখেছিলেন। সেইসময় পনিরসেলভাম ছিলেন পালানিস্বামীর কট্টর বিরোধী।
এর পরে শশীকলা দুর্নীতির দায়ে জেলে যান। পালানিস্বামী ও পনিরসেলভাম বিবাদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হন। তাঁরাই ক্ষমতা দখল করেন ।
তামিলনাড়ু বিধানসভায় আসনের সংখ্যা ২৩৪। তার মধ্যে ২০ টি শূন্য হওয়ায় এখন বিধানসভায় আছেন ২১৪ জন বিধায়ক। ১৮ জন বিদ্রোহীকে ব্যাড দিয়ে এখন এডিএমকে-র বিধায়কের সংখ্যা ১১৬।
Be the first to comment