কয়েকদিন আগেই মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বলেছিলেন, “ভেজা স্যানেটারি ন্যাপকিনে বন্ধুর বাড়ি আমরা যাই না , তাহলে শবরীমালা মন্দিরে কেন যাব?”। প্রায় একই মন্তব্য শোনা গেল কেরলের এক বিক্ষোভকারীর মুখেও। যিনি বেশ কয়েকশো লোকের জমায়েতে চিৎকার করে বললেন, “শবরীমালা মন্দিরকে রক্তাক্ত করতে যে কেউ এবার হাত কেটে মন্দিরে ঢুকবেন।” রাহুল ঈশ্বর নামে ওই যুবক আন্দোলনকারী এখানেই না থেমে বলতে থাকেন,”শবরীমালাকে রক্তে ভেজাতেই এই চক্রান্ত।”
কোচিতে শবরীমালা বাঁচাও কমিটির একটি সভায় বক্তব্য রাখছিলেন রাহুল।শবরীমালা মন্দিরে ১০-৫০ বছরের মহিলাদের প্রবেশাধিকারের বিপক্ষে বক্তব্য রাখতে গিয়েই এই মন্তব্য করেন তিনি। ঋতুবতী মহিলাদের মন্দিরে প্রবেশের বিরুদ্ধে গিয়ে “মন্দির রক্তাক্ত” উক্তিটি করেন তিনি। বক্তব্যকে সমর্থন করেই সভার প্রত্যেকে করতালিও দেন। তবে,একাংশ রাহুলের বক্তব্যের বিরোধিতা করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই দুই পক্ষের ঝগড়া শুরু হয়। পরে পরিস্থিতি সামাল দেয় কেরল পুলিশ, গ্রেফতার করা হয় রাহুল ঈশ্বরকে।
এই নিয়ে মোট ৩ হাজার বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করল কেরল পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন জানিয়েছেন, শবরীমালা প্রসঙ্গে কুরুচিকর মন্তব্য, বা উত্তেজনা ছড়ালেই বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার করবে পুলিশ।
স্মৃতি ইরানির বিতর্কিত মন্তব্য ঘিরে ঝড় ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়। মন্ত্রীর পথ হেঁটেই রাহুলও নিজের মন্তব্যে অকপট। গ্রেফতারের পরও একই স্লোগান দিচ্ছিলেন তিনি।
Be the first to comment