সন্তানের প্রতি কর্তব্যের পাশাপাশি নিজের উর্দির প্রতি দায়িত্বও ভোলেননি পুলিশকর্মী অর্চনা জয়ন্ত; পড়ুন!

Spread the love
সন্তানের প্রতি কর্তব্যের পাশাপাশি নিজের উর্দির প্রতি দায়িত্বও ভোলেননি ঝাঁসির পুলিশকর্মী অর্চনা জয়ন্ত। নিজের কাজের প্রতি তিনি এতটাই নিষ্ঠাবান যে একরত্তি মেয়ে অনিকাকে নিয়েই থানায় আসেন। ডেস্কে ঘুম পাড়িয়ে রেখে মন দেন কাজে। রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল সেই ছবি। আর ছবি ভাইরাল হওয়ার খানিকক্ষণের মধ্যেই মঞ্জুর হলো অর্চনায় বদলির আবেদন। উত্তর প্রদেশের ডিজিপি ওম প্রকাশ সিং জানিয়েছেন, আগ্রাতে বদলি করা হয়েছে অর্চনা। সেখানেই থাকেন অর্চনার বাবা-মা।
রবিবার, #mothercop-হিসেবেই বিভিন্ন সোশ্যাল সাইটে ট্রেন্ডিং ছিলেন ঝাঁসির কোতয়ালি থানার মহিলা কনস্টেবল অর্চনা জয়ন্ত। ২০১৬ সালে থেকে ঝাঁসিতে পোস্টেড রয়েছেন তিনি। নিজের দায়িত্ব এবং কর্তব্যের প্রতি অর্চনার নিষ্ঠা দেখে তাঁকে কুর্নিশ জানিয়েছিলেন নেটিজেনরা। নিমেষের মধ্যে অর্চনা হয়ে গিয়েছিলেন ‘হিরো’। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছিলেন, চাকরি সূত্রে ছ’মাসের মেয়ে অনিকাকে নিয়ে ঝাঁসিতে ভাড়া থাকেন তিনি। তাঁর নিজের বাবা-মা থাকেন আগ্রাতে। শ্বশুর-শাশুড়ি থাকেন কানপুরে। তাঁদের কাছেই থাকেন অর্চনার বড়ড়ুনয়ে। আর তাঁর স্বামী চাকরি সূত্রে থাকেন গুরগাঁওতে। অর্চনা জানান, আগ্রাতে বদলির জন্য আগেই আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় মেয়ের সঙ্গে ছবি ভাইরাল হওয়ায় কিছুক্ষণের মধ্যেই উত্তর প্রদেশ পুলিশ মঞ্জুর করেছে তাঁর ট্রান্সফারের আবেদন।
ডিজিপি সিং জানিয়েছেন, কানপুরে অর্চনার বদলি সম্ভব হয়নি। কারণ সেখানে মহিলা কনস্টেবলের পদ খালি নেই। অর্চনা নিজেই জানিয়েছিলেন আগ্রাতে বদলি হলেও তাঁর সুবিধা হবে। আর এটা জানার পরেই অর্চনার আগ্রাতে ট্রান্সফারের আবেদন মঞ্জুর করা হয়।  ট্রান্সফারের খবর জেনে খুবই খুশি অর্চনা। তিনি বলেন, “বহুদিন পরিবারের সঙ্গে দেখা হয়নি। তবে এ বার দিওয়ালি খুব ভালো কাটবে। বড় মেয়ে কনককেও এ বার নিজের কাছে নিয়ে আসব।“

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*