ফের মাও আতঙ্ক। এ বার বিহারের ঢোলপুর-মিঠাপুর রাস্তায় মাটির নীচ থেকে উদ্ধার হলো হলো ১০ কেজি ওজনের একটি তাজা বোমা। সোমবার সকালে সিআরপিএফ-এর বিশেষ বাহিনী এই বোমা উদ্ধার করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরের দিকে ঢোলাপুরের অস্থায়ী সিআরপিএফ ব্যারাকে গোপন সূত্রে এই খবর আসে। নিয়ে যাওয়া হয় পুলিশ কুকুর। পিচ রাস্তার একটা বড় অংশ খুঁড়ে ওই বোমা রাখা ছিল। পুলিশের অনুমান মাওবাদীরাই নাশকতার উদ্দেশ্যে এই বোমা রেখেছিল।
কয়েক সপ্তাহ আগেই র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের (র্যাফ) শৌর্য দিবসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছিলেন আগামী তিন বছরের মধ্যে নকশাল মুক্ত ভারত হবে। গৃহমন্ত্রী তথ্য দিয়ে বলার চেষ্টা করেছিলেন ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী সরকারে আসার আগে দেশের শতাধিক জেলা মাওবাদী তথা নকশালপন্থী অধ্যুষিত ছিল। কিন্তু গত চার বছরে সেই সংখ্যাটা কমে দাঁড়িয়েছে ১০-এ। তবে এই জন্য নিরাপত্তাবাহিনীকেই কৃতিত্ব দেন রাজনাথ। কিন্তু তার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই গত তিনদিন আগে, ছত্তীসগড়ে মাওবাদী হামলায় মৃত্যু হয় পাঁচ জওয়ানের। যার মধ্যে একজন মুর্শিদাবাদের।
এর মধ্যে গত মাসে পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় গৃহমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। বাংলা, বিহার, ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ডের রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের নিয়ে বাংলার সচিবালয় নবান্নের সভা ঘরে ওই বৈঠকের অন্যতম আলোচ্য বিষয় ছিল এই করিডোরে মাও আতঙ্ক। লোকসভা ভোটের আগে কেন্দ্রের তরফে আরও বেশি সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল রাজ্যগুলিকে।
গত, এপ্রিল মাসেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে এসেছিল সিপিআই (মাওবাদী) কেন্দ্রীয় কমিটির একটি দলিল। যে দলিল থেকে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছিলেন, এই অঞ্চলের মাও সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তেলেঙ্গানার এক ব্যক্তিকে। এবং তিনি বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তেও যাতায়াত করছেন বলে জানতে পেরেছিলেন। এরই মধ্যে বাংলার জঙ্গলমহলে মাও পোস্টার উদ্ধার হয়েছে। ফলে ঘনঘন লাগোয়া এলাকায় এই ধরনের ঘটনায় বাড়তি তৎপরতা নিচ্ছে প্রশাসনও। এ দিনের বিহারের ঘটনা তা থেকে বিচ্ছিন্ন নয় বলেই দাবি প্রশাসনের অনেকের।
Be the first to comment