আজ বিকেলেই চারদিনের উত্তরবঙ্গ সফরে কোচবিহারে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সফরসূচিতে প্রথম দু দিনই কোচবিহার। এ বার জেলায় বেশকিছু প্রকল্পের উদ্বোধন সহ সরকারি অনুষ্ঠান রয়েছে তাঁর। তাঁর এই সফর ঘিরেই সরগরম জেলার রাজনীতি। কেন মাত্র তিন মাসে দু দু’বার প্রশাসনিক বৈঠক, শুরু হয়েছে আলোচনা।
বারংবার যে তাঁর নির্দেশ অমান্য করে এই জেলায় দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা, নিজেদের খেয়াল খুশি মতো চলছেন তা বারবার সামনে আসায় কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের সভা থেকে সতর্ক করেছেন মমতা। কিন্তু তাতেও যে কাজের কাজ কিছুই হয়নি, তা জানেন তিনি নিজেও। জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, ফরোয়ার্ডব্লক থেকে আসা উদয়ন গুহ ও হিতেন বর্মনের সাথে নিবিড় সম্পর্ক রাখলেও প্রভাবশালী অন্য নেতাদের সঙ্গে যে বিশেষ যোগাযোগ রাখেন না, এমন অভিযোগ আছেই।
দলের যুব শাখার সঙ্গে মূল সংগঠন অর্থাৎ মাদারের নেতাদের আদায় কাঁচকলায় সম্পর্কও পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকেই প্রকট হয়েছে। নিজের ঘনিষ্ঠদের টিকিট দিতে গিয়ে কোচবিহার ১ নং ব্লক , দিনহাটা ১ ,শীতলকুচি ও নাটাবাড়ি সহ একাধিক জায়গায় ব্যাপক অশান্তি হয়েছে বারংবার। নেত্রীর কানে এ সমস্ত অভিযোগ ওঠার পরেও শুধরে নেওয়ার কোনও পদক্ষেপ দেখা যায়নি। উল্টে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, উদয়ন গুহ, হিতেন বর্মন ও বিনয়কৃষ্ণ বর্মনকে নিয়ে তৈরি হয়েছে জেলার কোর কমিটি। সেখানে ব্রাত্য থেকে গিয়েছেন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়, বিধায়ক মিহির গোস্বামী , বিধায়ক ফজল করিম মিয়া, বিধায়ক অর্ঘ্য রায় প্রধান সহ আরও অনেকে। পরিস্থিতি এমনই যে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা এই মুহূর্তে জেলার অনেক জায়গায় যেতেই পারছেন না। গেলেই শুরু হয়ে যাচ্ছে বিক্ষোভ।
Be the first to comment