গুরগাঁওয়ের ভ্যালি ভিউ এস্টেটে আটতলার বারান্দা থেকে মৃত্যু হয়েছিল এক মহিলার। মৃতার বাবা খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন জামাইয়ের বিরুদ্ধে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মহিলার স্বামীকে আটকও করেছিল পুলিশ। আর তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। মিলে গেল মৃতার বাবার অনুমান। এমনি এমনি আটতলার ব্যালকনি থেকে পড়ে যাননি তাঁর মেয়ে। বরং তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। সেটাও আবার করবা চৌথের দিনে। এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম বিক্রম চৌহান। স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগে ইতিমধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করেছে গুরগাঁও পুলিশ। গত শনিবার ২৭ অক্টোবর রাত ৯টা নাগাদ আচমকাই আটতলার ফ্ল্যাটের বারান্দা থেকে নীচে পড়ে যান বিক্রমের স্ত্রী দীপিকা (৩২)। দ্রুত তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় একটি হাসপাতালে। রবিবার বিকেলে সেখানেই মারা যান দীপিকা। জানা গিয়েছে, একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে চাকরি করতেন দীপিকা। পুলিশ জানিয়েছে, করবা চৌথ উপলক্ষে শনিবার উপবাসও রেখেছিলেন দীপিকা। কিন্তু সেদিনই কোনও কারণে বিক্রমের সঙ্গে তুমুল বচসা হয় তাঁর। আর তারপরেই দীপিকাকে আটতলার ব্যালকনি থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন বিক্রম।
মৃতার বাবার অভিযোগ, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন তাঁর জামাই বিক্রম। আর সেই নিয়েই অশান্তি হতো দীপিকা এবং বিক্রমের। দীপিকার বাবা পুলিশকে জানিয়েছে, ২০০৩ সালে দীপিকার সঙ্গে বিয়ে হয় বিক্রমের। তাঁদের একটি ৪ বছরের মেয়ে এবং ছ’মাসের ছেলেও রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই আবাসনেরই এক বিবাহিত মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল বিক্রমের। দীপিকার বাবার অভিযোগ, মাঝে মাঝেই নাকি দীপিকাদের ফ্ল্যাটেও আসতেন ওই মহিলা। আর তাতেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হতো চরম পর্যায়ে। মৃতার বাবা আরও জানিয়েছেন, বিক্রমের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে আপত্তি করায় দীপিকাকে রীতিমতো মারধরও করত বিক্রম।
Be the first to comment