নতুন ও পুরানোদের মিশিয়ে ভারসাম্য রেখে গঠিত হলো শালবনি পঞ্চায়েত সমিতি

Spread the love

গতবারের বিদায়ী কর্মাধক্ষ্য মিনু কোয়াড়ীকে সভাপতি করে ও বর্ষীয়ান তৃনমূল নেতৃত্ব বুলবুল হাজরাকে সহ সভাপতি করে শালবনী পঞ্চায়েত সমিতির যে যাত্রা শুরু হয়েছিলো, মঙ্গলবার স্থায়ী সমিতি গুলিতে কর্মাধ্যক্ষ নিয়োগ হওয়ার সঙ্গে তার সমাধান হলো। মোট ১১ টি পদ শালবনীর ১০ টি অঞ্চলে ভাগ করে দেওয়া হয়। আপাতদৃষ্টিতে শালবনী ৩ নং অঞ্চল এর নির্বাচিত সদস্যরা কর্মাধ্যক্ষ না হলেও, একমাত্র শালবনীর ৯ নং কাশীজোড়া কোনো কর্মাধ্যক্ষ পায়নি। একমাত্র নবীন ও প্রবীন দের মিশেল করে আজ জেলা পরিষদ সদস্য নেপাল সিলহ ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মিনু কোয়াড়ীর নেতৃত্বে কর্মাধ্যক্ষ্য গন নির্বাচিত হন। প্রত্যাশা মতোই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা যুব তৃনমূলের সাধারন সম্পাদক সন্দীপ সিংহ পূর্ত কার্য পরিবহন দফতরের দায়িত্ব পান।

প্রথমবার নির্বাচিত হওয়া সন্দীপ সিংহ সাংবিধানিক পদ পাওয়ায় ও কাজ করার সুযোগ পাওয়ায় এলাকার নারী ও যুবদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে। গতবারের দায়িত্বপ্রাপ্ত বন ও ভূমি তে পুনরায় দায়িত্ব পান ১ নং অঞ্চলের নেতা ও ব্লক তৃনমূলের সংখ্যালঘু মুখ আব্দুল কাসেম খান। ৪ নং বাঁকিবাঁধের পুরোনো কর্মী ও তৃনমূলের সাধারন সম্পাদক হিসাবে প্রথমবার নির্বাচিত হয়েই খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের দায়িত্ব পান নিতাই মাহাত। অনুরূপ ভাবে ৮ নং গড়মাল থেকে নির্বাচিত বর্ষীয়ান তৃনমূল কর্মী হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ কৃষি সেচ ও সমবায় দফতর পান লক্ষীকান্ত ঘোষ। শিশুশিক্ষার সাথে যুক্ত ও গতবারের জেলা পরিষদ সদস্যা ১০ নং কর্নগড়ের উষা কুন্ডু মহাশয়া এবারই প্রথম সমিতিতে নির্বাচিত হন এবং শিক্ষা সংস্কৃতি ও ক্রীড়া দফতর পান উষা কুন্ডু। 

গতবারের কর্মাধক্ষ্য হিসাবে কাজ করে এবার নতুন দায়িত্ব নিয়ে মৎস ও প্রাণিসম্পদ দফতরে আসেন বিমল মাহাতো। গতবারে এই দফতরের দায়িত্বে ছিলেন এবারের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মিনু কোয়াড়ী। ৫ নং লালগেড়িয়াতে তৃনমূলের বিপর্যয় এর মধ্যে নির্বাচিত হয়ে সমিতিতে এসে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষুদ্র কুটিরশিল্প, বিদ্যুৎ দফতরের দায়িত্ব পান শুকলাল মান্ডী। অনুরূপ ভাবে ২ নং বিষ্ণুপুর থেকে নির্বাচিত হয়ে নারী, শিশু সমাজকল্যাণ দফতরের দায়িত্ব পান বুল্টি সিং।  ব্লক তৃনমূলের আরেক মহিলা মুখ ও ১০ নং কর্নগড়ের নির্বাচিত সদস্য হিসাবে জনস্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্ব পান নিবেদিতা ব্যানার্জী।

দায়িত্ব বন্টনের পর নেপাল সিংহ সকলকেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে গত ৫ বছরের শালবনীর ব্যাপক উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান করেন। তিনি আরও বলেন দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জীর নির্দেশ মেনে আমরা ৪ জন মহিলা সহ,কুড়মী আদিবাসী সহ সমস্ত প্রতিনিধি নিয়ে বোর্ড তৈরী করেছি। যদিও আমাদের আরও ১১ জন নির্বাচিত সদস্য কোনো পদ পাননি। তিনি তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে, সমস্ত নির্বাচিত প্রতিনিধির পরামর্শ মেনে সকলকে মিলেমিশে কাজ করার আহ্বান জানান।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*