নাবালিকাকে খুন করে দেহ স্যুটকেসে ভরে ফেলে দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হলো না। খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন এক দম্পতি।
ঘটনাটি উত্তর-পূর্ব দিল্লির বাবুরপুর এলাকায়। অভিযুক্ত দম্পতি রাজব আলি ( ৩৪ ) ও রুকসার ( ৩২ ) ওই এলাকারই বাসিন্দা। টুয়েলভ পাস রুকসারের কাছে টিউশন পড়তে যেত ওই নাবালিকা। পুলিশ সূত্রে খবর, ২২ অক্টোবর টিউশন পড়তে যাওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিল সে।
পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার মা-বাবা। পুলিশ রাজব ও রকসারের বাড়িতে গেলে তাঁরা জানান, পড়া শেষ করে বেরিয়ে গেছে ওই নাবালিকা। তারপরেও পুলিশের সন্দেহ তাঁদের উপর থেকে যায়নি। এর মধ্যেই ২৮ অক্টোবর তিমারপুর এলাকার বায়োডাইভার্সিটি পার্ক থেকে একটি স্যুটকেস উদ্ধার হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্যুটকেসের মধ্যে থেকে ওই নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে। অরুনা আসফ আলি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই নাবালিকার গলায় রুমালের একটা অংশ দিয়ে ফাঁস লাগানো ছিল। নাবালিকার দেহ পাওয়ার পরেই রাজব ও রুকসারের বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। তল্লাশির সময় রুমালের বাকি অংশ মেলে। এ ছাড়াও ওই স্যুটকেসের কভারও পাওয়া যায় বাড়িতে।
তারপরেই পুলিশি জেরায় নিজেদের অপরাধের কথা স্বীকার করে নেন রাজব ও রুকসার। উত্তর-পূর্ব পুলিশের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার অতুল কুমার ঠাকুর জানিয়েছেন, ঘটনার দিন ওই নাবালিকা তাঁদের বাড়িতে পড়ার সময় পেছন থেকে মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করেন রুকসার। তারপর তাঁকে হাত-পা বেঁধে আটকে রাখা হয়। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল অপহরণ করে মুক্তিপণ চাওয়া। কিন্তু পুলিশের তল্লাশি বেড়ে যাওয়ায় বেশিক্ষণ লুকিয়ে রাখা তাঁদের পক্ষে সমস্যা হচ্ছিল। তখনই তাঁরা নাবালিকা খুন করার সিদ্ধান্ত নেন।
আপাতত পুলিশি হেফাজতে আছেন তাঁরা। তাঁদের বিরুদ্ধে খুন, অপহরণের ভিত্তিতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
Be the first to comment