জেলা সংশোধনাগার চত্বর থেকে উদ্ধার হল এক যুবকের মুণ্ডহীন দেহ। আজ বেলার দিকে ওই সংশোধনাগারের সাফাইকর্মীরা নর্দমা পরিষ্কার করতে এলে ঝোপের মধ্যে থাকা দেহটি তাঁদের নজরে পড়ে। তাঁরাই খবর দেন সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষকে। খবর যায় পুরুলিয়া সদর থানায়। পরে পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। মৃত ব্যক্তির নাম পরিচয় জানা যায়নি। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য দেবেন মাহাতো সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জেল চত্বরে দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে প্রশাসনিক মহলে।
পুলিশসূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে ওই এলাকা থেকেই উদ্ধার হয়েছিল একটি কাটা মুন্ডু। ওই মুন্ডু এবং দেহ একই ব্যক্তির কি না, খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আকাশি রঙের প্যান্ট এবং সবুজ রঙের গেঞ্জি পরা অবস্থায় পড়েছিল দেহটি। সাফাইকর্মীরা জানান, নর্দমা পরিষ্কার করার সময় প্রচণ্ড দুর্গন্ধ পান তাঁরা। এরপরেই ঝোপ সরিয়ে দেহটি দেখতে পান। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে জেল চত্বরে। সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত বন্দিকে সেলে ডেকে গুনতি করা হয়। পরে কারাকর্তারা নিশ্চিত হন যে বাইরে থেকেই দেহটি ফেলে যাওয়া হয়েছে এখানে।
পুলিশের অনুমান দু-তিন দিন আগেই খুন করা হয়েছে ওই যুবককে। কিন্তু কী ভাবে কড়া নিরাপত্তায় মোড়া জেল চত্বরে সবার নজর এড়িয়ে ওই দেহ ফেলে দেওয়া হল তা ভাবিয়ে তুলেছে জেল কর্তাদের। সংশোধনাগারের আবাসিক ও কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
Be the first to comment