বর্ষীয়ান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট ফেসবুকে। যার জেরে পুলিশের দ্বারস্থ হতে হল তাঁর পরিবারকে।
পুলিশ জানিয়েছে, সৌমিত্রর মেয়ে পৌলমী বসুর অভিযোগ, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নেই। তিনি হঠাৎই দেখেন, তাঁর বাবার ছবি ও নাম দিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট বেশ অ্যাকটিভ রয়েছে ফেসবুকে। সেই অ্যাকাউন্ট থেকে নানা রকম লিঙ্ক শেয়ার করা হয়েছে। কয়েকটি লিঙ্ক সাধারণ হলেও, বেশ কয়েকটি আবার বিরক্তিও উদ্রেক করছে। যেমন একটি পোস্টে ‘সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়’ বলছেন, ঘরের টিকটিকি নিধন করার উপায়! আবার অন্য একটি পোস্ট বলছে, দম্পতির পুরুষ ও নারীর মধ্যে বয়সের ব্যবধান বেশি থাকলে কী হয়! আর একটি পোস্ট আবার অন্তঃসত্ত্বাদের উদ্দেশ্যে বলছে, পেটের মধ্যে ভ্রূণের মৃত্যু হলে কী করা উচিত।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রতিটি পোস্টে কয়েকশো করে লাইক পড়েছে। অনেকে কমেন্টও করেছেন। একটি পোস্টে আবার মিঠুন চক্রবর্তীকে ইঙ্গিত করে কিছু বলা হয়েছে। সেই পোস্টটি নিজের ওয়ালে শেয়ার করে পৌলমী জানিয়েছেন, “আমার বাবার নাম করে কিছু অবাঞ্ছিত কাজকর্ম চলছে। আমি জানি না এমনটা কে করছেন, কিন্তু এটা বন্ধ হওয়া দরকার। আমার বাবা ফেসবুকে নেই, এমনকী ওঁর স্মার্টফোনই নেই। আমার সমস্ত বন্ধুদের অনুরোধ করছি, বাবার নামে খোলা এই ফেক প্রোফাইলটা রিপোর্ট করতে। এই প্রোফাইল থেকে যা যা শেয়ার করে হচ্ছে, সেগুলি ওঁর ভাবমূর্তির জন্য লজ্জাজনক এবং ক্ষতিকারক।”
এই পোস্ট দেওয়ার কিছু পরেই ফেসবুকের মানুষরা প্রোফাইলটা রিপোর্ট করতে শুরু করেন এবং পৌলমীকে পরামর্শ দেন পুলিশে অভিযোগ দায়ের করতে। পৌলমী বলেন, “আমি প্রথমে ইগনোর করছিলাম। কিন্তু মিঠুন চক্রবর্তীকে নিয়ে করা পোস্টটা দেখে আমি সিদ্ধান্ত নিলাম, এটা থামা দরকার। এর পরে আমি পুলিশে অভিযোগ করি।” পুলিশ জানিয়েছে, খোঁজখবর নিয়ে অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এই ভুয়ো অ্যাকাউন্টের ফাঁদে বহু সেলিব্রিটির ভাবমূর্তি খোয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, “আমার তো অন্তত এক ডজন ফেক অ্যাকাউন্ট আছে এরকম। প্রায়ই রিপোর্ট করি, আবার কেউ খোলে।”
Be the first to comment