ফের তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত বীরভূম। এ বার নানুর ব্লকের সাওতা গ্রাম পঞ্চায়েতের চণ্ডীপুরে। শনিবার রাত থেকে বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা কাজল শেখ এবং প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর হাজরার গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পায়ে গুলি লাগে মুকুল মোল্লা নামের এক তৃণমূল কর্মীর। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আরও পাঁচ জন আহত হন। ছ’জনকেই ভর্তি করা হয়েছে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে। রবিবার সকাল থেকে গ্রামে মোতায়েন করা হয়েছে বিরাট পুলিশবাহিনী। শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দলে ভাঙচুর চলেছে গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়িতেও। গুলি বিদ্ধ তৃণমূলকর্মী আপাতত বিপদমুক্ত বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অস্ত্রোপচার করে তাঁর পা থেকে গুলি বের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
প্রসঙ্গত, বীরভূমে রাজনৈতিক সংঘর্ষ নতুন ঘটনা নয়। সপ্তাহ দুই আগেই দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হয়েছেন তৃণমূলের খয়রাশোলের ব্লক সভাপতি দীপক ঘোষ। শাসক দল অভিযোগ তুলেছিল, এই খুনের পিছনে রয়েছে বিজেপি-র হাত। যদিও বিজেপি সেই অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা শাসক দলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিল। জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়ের বক্তব্য ছিল, “কয়লার কাঁচা পয়সা নিয়ে বখরার লড়াইয়েই খুন হয়েছেন দীপক ঘোষ।” এর আগেও খয়রাশোলের দুই ব্লক সভাপতি অশোক ঘোষ এবং অশোক মুখোপাধ্যায়কে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা।
সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে বীরভূম জেলা পরিষদ গঠনের দিন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেছিলেন, “তৈরি হোন। পুজোর পরই আচট জমিতে পাচন দিতে হবে।” নানুরের ঘটনা নিয়ে গেরুয়া শিবিরের এক নেতা কেষ্ট মণ্ডলের ওই কথাকে কটাক্ষ করে বলেন, “অনুব্রতবাবুর উচিত নিজের দলে পাচন দেওয়া।” যদিও নানুরের ঘটনা নিয়ে শাসক দলের কোনও নেতাই মুখ খুলতে চাননি।
Be the first to comment