আইসিইউ-তে ভর্তি থাকাকালীন ধর্ষিতা হলেন এক তরুণী, গ্রেফতার হাসপাতালেরই এক কর্মী; পড়ুন!

Spread the love
আইসিইউ-তে ভর্তি থাকাকালীন ধর্ষিতা হয়েছেন এক তরুণী। অভিযোগের তির হাসপাতালেরই এক কর্মীর বিরুদ্ধে। সঙ্গে ছিল আরও চারজন। শনিবার, এই ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বরেলির একটি বেসরকারি হাসপাতালে। অভিযুক্ত হাসপাতাল কর্মীকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পলাতক চার ব্যক্তির খোঁজেও চলছে তল্লাশি।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই তরুণী পারিবারিক খামারবাড়িতে কাজ করছিলেন। সেই সময় তাঁকে সাপে কামড়ায়। তারপর এই হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। জানা গিয়েছে, গত পাঁচদিন ধরে এই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, যে সময় এই ঘটনা ঘটে তখন আইসিইউ-তে একমাত্র রোগী ছিলেন নির্যাতিতা তরুণী। পুলিশের এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিক এ সিং জানিয়েছেন, জেনারেল ওয়ার্ডে স্থানান্তর হওয়ার পর পরিবারের সবাইকে তাঁর ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কাথা জানায় ওই তরুণী। এরপরেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তরুণীর পরিবার। শুরু হয় তদন্ত। হাসপাতালে কর্মী সহ পাঁচ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে বরেলি পুলিশ। আইসিইউ-এর সিসিটিভি ফুটেজও বাজেয়াপ্ত করেছে তারা।
তরুণী জানিয়েছেন, আইসিইউ-তে রাতে একা ছিলেন তিনি। সেই সময় হাসপাতালের কর্মীদের পোশাক পরা এক ব্যক্তি আসে আইসিইউ-তে। সঙ্গে ছিল আর চারজন। প্রথমে ওই পাঁচজন তরুণীকে জোর করে ইনজেকশন দিতে যায় বলে অভিযোগ করেছেন তরুণী। কিন্তু বাধা দেওয়ায় তরুণীর হাত বেঁধে দেওয়া হয়। অভিযোগ এরপরে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়।
এই ঘটনার দু’সপ্তাহ আগেই একজন নার্সিংয়ের পড়ুয়াকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল এক ওয়ার্ড বয় এবং মেডিক্যালের এক পড়ুয়াকে। উত্তরপ্রদেশের বাগপতে একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন নার্সিংয়ের ওই পড়ুয়া। অভিযোগ সেই সময়েই তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। রাতের বেলা ওই তরুণীও হাসপাতালের কেবিনে একাই ছিলেন। অন্যসময় সঙ্গে দিদি থাকলেও সেদিন চা খেতে বাইরে গিয়েছিলেন। আর সেই সুযোগেই তাঁর কেবিনে ঢোকে অভিযুক্ত ওয়ার্ড বয় এবং মেডিক্যালের পড়ুয়া। পুলিশ জানিয়েছে। দুই অভিযুক্ত তরুণীকে নিয়ে বিভিন্ন টেস্ট করানোর নামে জরুরি বিভাগে যায়। অভিযোগ, এরপর তাঁকে সিডেটিভ মেশানো ইনজেকশন দেওয়া হয়। তরুণীর অভিযোগ এরপর তাঁকে ধর্ষণ করা হয়।
স্বভাবতই, পরপর এই ধরনের ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। চিকিৎসা করাতে গিয়েও ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন রোগীরা। ফলে আপাতত খানিকটা চাপের মুখেই রয়েছে যোগী সরকার।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*