এক দিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় অডিও প্রকাশ করে ছেলে জানিয়েছিল জঙ্গি দলে নাম লিখিয়েছে সে। পরের দিন ভিডিও বার্তাতে ছেলেকে ঘরে ফেরার অনুরোধ করলেন মা-বাবা।
শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হয় একটা অডিও। এহ্তিসাম বিলাল নামে সারদা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ১৯ বছরের এক ছাত্র এই অডিও প্রকাশ করে। ৬ মিনিটের এই অডিওতে বিলাল জানায়, সে কাশ্মীরের জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট জম্মু ও কাশ্মীরে যোগ দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে তাকে হেনস্থা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করে বিলাল। এই হেনস্থার পরেই সে এই সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানিয়েছে। এমনকী ইসলামিক স্টেট জম্মু ও কাশ্মীরের প্রধান আবু বকর আল-বাগদাদি’র কাছে অঙ্গিকার করে সে নিজের পথে এগিয়ে গিয়েছে বলে জানায় বিলাল।
এর পরেই শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ হয় কয়েকটি ভিডিও। এই ভিডিও’র মাধ্যমে বিলালকে ঘরে ফেরার অনুরোধ করেছেন তার মা-বাবা। একটি ভিডিওতে বিলালের বাবা বিলাল আহমেদ সফি বলছেন, ” আমরা তোর কথা শুনেছি। আমাদের খুব খারাপ লেগেছে। আমরা দুঃখিত। বিলাল, তুই ইসলাম ও কোরানের কথা বলেছিস। কিন্তু তুই ভুলে গেছিস, ইসলাম বলে মায়ের পায়ের নীচেই স্বর্গ আর বাবা হলো সেই স্বর্গে যাওয়ার দরজা। তুই যেখানেই আছিস, আমি অনুরোধ করছি ও নির্দেশ দিচ্ছি, দয়া করে বাড়ি ফিরে আয়। ”
আর একটি ভিডিও বার্তায় দেখা গেছে বিলালের মাকে। তিনি অনুরোধ করে বলেছেন, বিলালের তিন বোন আছে। কে তাদের দেখাশোনা করবে। বিলাল না থাকলে তাদের কী হবে? অসুস্থ মায়ের কথা একবারও চিন্তা করল না তাঁর ছেলে। এমনকী জঙ্গি প্রধান জাকির মুসা’র কাছে তিনি অনুরোধ করেছেন যাতে তাঁর ছেলেকে বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
সেন্ট্রাল কাশ্মীরের ডিআইজি ভি কে ভিরদি জানিয়েছেন, পুলিশ ওই অডিও বার্তা ও ছবির সত্যতা যাচাই করছে। কীভাবে বিলাল ও তার মতো অনেক কাশ্মীরি যুবক এত সহজে জঙ্গি দলের সঙ্গে যোগাযোগ করছে, সে ব্যাপারেও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Be the first to comment