অবনী’-র পর মৃত্যু হলো আরও এক বাঘিনীর। উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরি জেলায় রবিবার দশ বছরের একটি বাঘিনীকে মেরে ফেলেছে গ্রামবাসীরা। অভিযোগ, ওই বাঘিনী নাকি কিছুদিন আগে মেরে ফেলেছিল এক গ্রামবাসীকে। চিকিৎসা চলাকালীন হাসপাতালেই মারা যান ওই ব্যক্তি।
মৃত বাঘিনীটি ছিল উত্তরপ্রদেশের দুধওয়া টাইগার রিজার্ভের বাসিন্দা। লখনৌ থেকে ২১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই টাইগার রিজার্ভ। ফরেস্ট গার্ডরা জানিয়েছেন, রবিবার, ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা ওই দুধওয়া টাইগার রিজার্ভের কোর অঞ্চলে প্রবেশ করে। অভিযোগ, এরপর নিরাপত্তারক্ষীদের মারধর করে গ্রামবাসীরা। কেড়ে নেয় একটি ট্র্যাক্টর। এরপর ওই বাঘিনীকে খুঁজে বের করে তার উপর দিয়েই চালিয়ে দেয় ট্র্যাক্টর। মৃত্যু নিশ্চিত করতে বাঘটিকে বারবার মোটা লাঠি দিয়েও আঘাত করে তারা। জানা গিয়েছে, এই গ্রামবাসীরা ব্যাঘ্র সংরক্ষণ প্রকল্পের বাফার জোনের কাছেই বসবাস করে।
এ দিকে গ্রামবাসীদের সব অভিযোগকেই মিথ্যে বলেছেন ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টের আধিকারিকরা। তাঁরা জানিয়েছেন গত ১০ বছরে এই বাঘিনী কোনও মানুষকে আক্রমণ করেনি। অভিযুক্ত গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে পুলিশকে কড়া পদক্ষেপ গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছে বন দফতর। তবে বনকর্মীদের অভিযোগের পাল্টা জবাব দিয়েছে গ্রামবাসীরাও। তাদের অভিযোগ, গত কয়েকদিন ধরেই বেশ কয়েকবার লোকালয়ে হানা দিয়েছিল ওই বাঘিনী। বনদফতরকে সে কথা জানিয়েওছিলেন তারা। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। উপযুক্ত কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি বনদফতর। এমনটাই অভিযোগ জানিয়েছে ওই গ্রামবাসীরা।
অবনীর মৃত্যুর দিন কয়েকের মধ্যে ফের মৃত্যু হলো আরেক বাঘিনীর। আর দুই ক্ষেত্রেই দায়ী মানব সমাজ। অবনীর ক্ষেত্রে অভিযোগ গত দু’বছরে সে নাকি ১৩ জন মানুষকে মেরে ফেলেছে। আর সদ্য মৃত্যু হওয়া বাঘিনীর বিরুদ্ধেও মানুষ মারার অভিযোগই রয়েছে। যদিও এই সব অভিযোগ মানতে নারাজ পশুপ্রেমীরা। তাঁদের দাবি, অভিযোগ তো একটা ছুতো মাত্র। প্ল্যানমাফিকই মেরে ফেলা হয়েছে এই বাঘিনীদের।
Be the first to comment