গত কয়েকদিন ধরেই আবহাওয়া অত্যন্ত খারাপ উপত্যকায়। ভারী তুষারপাতের ফলে বিস্তীর্ণ এলাকায় বিচ্ছিন্ন হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। এ বার থাবা বসালো ধস।
জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরিতে ভূমি ধসের ফলে মৃত্যু হয়েছে এক নয় বছরের কিশোরীর। মৃতার নাম শাবিনা কৌসর। গুরুতর জখম হয়েছেন তার পরিবারের বাকি তিন সদস্য। স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে তাঁরা। জানা গিয়েছে, এক রাতের মধ্যেই প্রায় ৭০০ বাসিন্দাকে ভারী তুষারপাত হওয়া জওহর টানেল এলাকা থেকে অন্যত্র নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ভারী তুষারপাতের সঙ্গে তীব্র বৃষ্টি বিপর্যস্ত করছে কাশ্মীরের জনজীবন। দুর্যোগ এড়াতে সম্ভাব্য সব রকমের জরুরি ব্যবস্থা তৈরি রাখার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল সত্য পাল মালিক।
জানা গিয়েছে, ছাতয়ার গ্রামে একটি তীর্থস্থানের কাছে তাঁবু খাটিয়েছিলেন শাবিনার পরিবার। শনিবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ আচমকাই সেখানে ধস নামে। ঘটনাস্থলেই মারা যায় শাবিনা। মারাত্মক ভাবে জখম হন পরিবারের বাকি তিন সদস্য।
জম্মু-শ্রীনগর ন্যাশনাল হাইওয়ে রবিবার খোলা হয়েছিল। তবে ওয়ান ওয়ে ট্র্যাফিকের জন্য। কিন্তু দিনের শেষে ভারী তুষারপাত এবং ধসের ফলে বন্ধ করে দেওয়া হয় এই রাস্তা। প্রায় ৯ ঘণ্টার চেষ্টায় খানিকটা বরফ পরিষ্কার করে একটি রাস্তা খুলে দেওয়া হয় যেটি গোটা দেশের সঙ্গে উপত্যকাকে জুড়েছে। শ্রীনগর থেকে কাশ্মীরের দিকে আসা বিভিন্ন গাড়িয়ে এই রাস্তা দিয়েই পার করানো হয়েছে।
এ দিকে ভারী তুষারপাতের ফলে শনিবার সকাল থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের বিস্তীর্ণ এলাকায় বিচ্ছিন্ন হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। রাজ্যের অশিকাংশ জায়গাতেই নেই বিদ্যুৎ। এমনকী এই তালিকায় রয়েছে হাসপাতালও। এর পাশাপাশি বিপর্যস্ত জম্মু ও কাশ্মীরের পরিবহণ ব্যবস্থা। অশিকাংশ এলাকায় বরফ পড়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছে রাস্তা। বেশ কিছু জায়গায় বরফ গলে জল জমে গিয়েছে। তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে গোটা উপত্যকা জুড়ে।
জম্মু ও কাশ্মীরের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ৫ নভেম্বর থেকে উন্নতি হবে আবহাওয়ার। তুষারপাত বন্ধ হতে পারে, এমনটাই পূর্বাভাস দিয়েছে উপত্যকার আবহাওয়া দফতর। ৫ নভেম্বর থেকে আগামী ২ থেকে ৩ সপ্তাহ আবহাওয়া শুকনো থাকবে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। যদিও ভারী তুষারপাতের ফলে আগামী ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টার মধ্যে উষ্ণতার পারদ এক ধাক্কায় অনেকটা কমবে বলেই আশঙ্কা করছেন আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকরা।
Be the first to comment