রেলে শেষ ভিআইপি যুগ। রেলে শীর্ষস্তরের অফিসারদের হাতছাড়া সেলুন কার। এবার এই সেলুন কারগুলিতে চড়ার সুযোগ পাবেন রেলের সাধারণ যাত্রীরাও। খালি ট্যাঁকের জোর থাকলেই হল। নিজের সেলুন কার ছেড়ে দিয়ে দৃষ্টান্ত রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের। আয় বাড়াতেই রেলের এই উদ্যোগ।
ভেবে দেখুন একবার, চলন্ত ট্রেনের পাঁচতারা হোটেলের মতো কামরা। সঙ্গে লাইভ কিচেন। যা চাইবেন, হাতের কাছে মজুত। সেলুন কারের অনুভূতিই আলাদা। এতদিন রেলের নামীদামি কর্তারাই তা ব্যবহার করতে পারতেন। এবার সেই সাধারণ যাত্রীদের কাছেও সেই সুযোগ। আয় বাড়াতেই রেলের এই সিদ্ধান্ত।
রেল কর্তাদের দখলে থাকা সেলুন কারগুলিতে রেলের হাতে তুলে দিতে রেলকর্তাদের কাছে নির্দেশ এসেছে। তারপরই নিজের সেলুনকারটি ছেড়ে দিয়েছেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। ২০১৭ সালে সেলুন কারগুলি ছেড়ে দিতে কর্তাদের নির্দেশ দিয়েছিল রেল। কাজ না হওয়ায় এবার কড়া অবস্থান নেওয়া হয়েছে।
রেলের হাতে ৩৫৬টি সেলুন কার এর মধ্যে ৬২টি সম্পুর্ণ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত আইআরসিটিসির মাধ্যমে বুকিং করা যাবে থাকছে তিনটি করে বেডরুম ও টয়লেট। রাজকীয় ব্যবস্থা। তাই খরচও বেশ চড়া।
পুরী — ২ লক্ষ, রাঁচি — ১.৬৫ লক্ষ, গয়া — ২.৫০ লক্ষ, ডুয়ার্স — ১.৯০ লক্ষ, দার্জিলিং – ১.৯০ লক্ষ(ভাড়া দৈনিক হিসাবে)। এত টাকা খরচ হলেও একেবারে পয়সা উসুল এক্সপেরিয়েন্স নিয়েই যাত্রীরা ফিরবেন বলে দাবি রেলের।
ইতিমধ্যেই এই পরিষেবার জন্য আবেদন পেতে শুরু করেছে রেল। সবকটি সেলুন কার চালু হলে ভাঁড়ার ভরে ওঠার আশায় রেলকর্তারা।
Be the first to comment