তিনসুকিয়ার পাশের জেলা সাদিয়া। এই জেলাতেই অরুণাচল প্রদেশ লাগোয়া সীমানা। সাদিয়া জেলার পুলিশেরও দায়িত্ব, তিনসুকিয়ার দিকে নজর রাখা। আর সেই তিনসুকিয়ার ঢলাতেই পাঁচ বাঙালিকে গুলি করে হত্যা। যা ঘিরে দেশজুড়ে শোরগোল। তিনসুকিয়ার এই ঘটনার জেরেই বদলি করে দেওয়া হল সাদিয়ার পুলিশ সুপারকে। প্রশান্ত সাগর চাংমাইকে সরিয়ে নতুন পুলিশ সুপার করা হলো দেবজিৎ দেউরিকে।
পাঁচ বাঙালির হত্যার পর এখনও থমথমে ঢলা গ্রাম। সেই বধ্যভূমিতে নিউজ এইটিন বাংলা। সোমবার ফের সাদিয়ার ডিএসপি যাদবচন্দ্র ভোরা ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন। ইতিমধ্যে নারকীয় হত্যার তদন্ত শুরু করেছে এনআইএ। ঘটনাস্থল থেকে তারা নমুনা সংগ্রহ করে। কী কারণে হত্যা? সেই উত্তরের খোঁজে অসম পুলিশ। খুনের সঙ্গে আলফা যুক্ত আছে বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। যদিও আলফা হত্যার দায় অস্বীকার করেছে। ডিএসপির দাবি, গণহত্যার পিছনে কারা রয়েছে তা দ্রুত জানা যাবে।
ঢলা-সহ আশেপাশের গ্রামে চলছে পুলিশি টহল। আধাসেনার অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরি হয়েছে। তবুও আতঙ্ক কাটছে না গ্রামবাসীদের। অন্ধকার নামলে আতঙ্ক যেন গেরে বসছে ঢোলায়।
মেঠো পথ, পাখিদের আনাগোনা, শান্ত সবুজে ঘেরা ঢলা। গ্রামের সেই চেনা ছবি। এই গাঁয়ে খুন-রক্তপাত দুঃস্বপ্নের মতো। গ্রামে পুলিশ, আধা সেনার টহলে তাল কেটেছে ঢলার গ্রাম্য জীবনে। এখনও যেন ঘোর কাটছে না ঢলার। জীবন-মন গ্রাস করেছে আতঙ্ক। কিছুতেই যেন স্বস্তি নেই। ঢলায় স্থায়ী সেনা ক্যাম্প চাইছেন বাসিন্দারা।
Be the first to comment