মানুষের থেকে পশুদের শ্রবণক্ষমতা বেশি তাই শব্দবাজির বিকট আওয়াজ পশুদের কানে বেশি মাত্রায় ধাক্কা দেয়। কুকুরের শ্রবণ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। মুখ দিয়ে অনবরত লালা ঝরতে থাকে। হৃদযন্ত্রেও গোলমাল দেখা দেওয়ায় শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। পশুদের প্রজনন ক্ষমতাও লোপ পেতে পারে। পশুরা ভয়ে খাট বা টেবিলের তলায় লুকিয়ে পড়ে। অনেক সময় পথের কুকুর এলাকা থেকে পালিয়ে যায়।
পুলিশের আশ্বাস, শব্দবাজির দাপট রুখতে এলাকায় নজরদারি চলবে। প্রয়োজনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
পশুপ্রেমীরা বলছেন, পোষ্যদের জন্য কিছু ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে! যেমন–
দরজা-জানলা বন্ধ রাখতে হবে।
টিভির আওয়াজ বাড়িয়ে রাখতে হবে।
পশুদের বেশি পরিমাণে তরল খাবার দিতে হবে।
বাড়ির অন্তত একজন সদস্যকে পোষ্যের সঙ্গে সময় কাটাতে হবে।
পশু চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে ঘুমের ওষুধও খাওয়ানো যেতে পারে।
রাস্তার পশুদের প্রতি নির্মম আচরণ রুখতে এলাকায় তদারকি করবেন পশুপ্রেমীরাও। সচেতনতাই বাঁচিয়ে রাখতে পারে পরিবেশের ভারসাম্য। মানুষের সঙ্গে পশু-পাখিদের সহাবস্থান গড়তে প্রশাসনের পদক্ষেপকেই তাই সাধুবাদ জানিয়েছেন পশুপ্রেমীরা।
শব্দবাজি নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে আগেই। তবে শব্দবাজি একেবারেই ফাটবে না, তার নিশ্চয়তা নেই। শব্দে যেখানে মানুষেরই কান ঝালপালা, সেখানে পশুদের অবস্থা আরও সঙ্গীন। অনেকেই আবার রাস্তার পশুদের গায়ে বাজি ছুড়ে দিয়ে আনন্দ পান। এ ধরনের ঘটনা রুখতে সচেতনতার প্রচার চালাল বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ।
স্পিৎজ, ল্যাব্রাডর, পমেরানিয়ান, স্প্যানিয়ালের মত বিদেশি কুকুর হোক, বা পথের কুকুর। শব্দবাজির দাপাদাপিতে প্রাণ ওষ্ঠাগত সবারই। দীপাবলি আলোর উৎসব। শব্দের নয়। মানুষ অবশ্য দীপাবলিকে শব্দের উৎসব বানিয়ে নিয়েছে। নিষেধাজ্ঞা জারি হলেও আইনের ফাঁক গলে কিছু শব্দবাজি ফাটতে শোনা যায় প্রতিবারই। অনেকেই আবার পথের কুকুরদের লেজে বাজি বেঁধে দেন বা বিড়ালের গায়ে জ্বলন্ত বাজি ছুড়ে মারেন। আর শব্দবাজি নিয়ে মানুষের আনন্দের খেসারত দেয় পশুপাখিরা। পশুদের প্রতি এধরনের আচরণ রুখতে পথে নামল বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ। এলাকায় সচেতনতার প্রচারে ব্যানার ,পোস্টার নিয়ে একটি র্যালি করা হয়। পোষ্যদের নিয়ে ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারাও।
Be the first to comment