শোনা গিয়েছিল, মঙ্গলবার অযোধ্যায় গিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ রামচন্দ্রের মূর্তি নির্মাণের কথা ঘোষণা করবেন। মঙ্গলবার না করলেও বুধবার দেওয়ালির সকালে তিনি জানিয়েছেন, অযোধ্যায় রামচন্দ্রের মূর্তি তৈরি হচ্ছেই।
আগে শোনা গিয়েছিল, মূর্তি তৈরী হবে সরযূ নদীর তীরে। তার উচ্চতা নাকি গুজরাতে সদ্য প্রতিষ্ঠিত সর্দার প্যাটেলের মূর্তির চেয়েও বেশি হবে। কিন্তু বুধবার যোগী বলেছেন, মূর্তিটি থাকবে মন্দিরের ভিতরে। মূর্তি দেখতে পর্যটকরা আসবেন।
অযোধ্যার বিতর্কিত স্থানে রামমন্দির নির্মাণের ব্যাপারে প্রশ্ন করলে যোগী বলেন, ওই জায়গায় মন্দির নিশ্চয় তৈরি করা হবে। কিন্তু তা করতে হবে সংবিধান মেনেই। একটি সূত্র থেকে শোনা যাচ্ছে, অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের দাবিতে জোরদার আন্দোলন শুরু হবে কিছুদিনের মধ্যে । ওই সময়েই রামচন্দ্রের মূর্তি নির্মাণও শুরু হবে।
এলাহাবাদ নাম বদলে হয়েছে প্রয়াজরাজ। দীপাবলীর রাতে যোগী আদিত্যনাথ ঘোষণা করেছেন ফৈজাবাদের নাম বদলে করবেন অযোধ্যা। এ বার সেই পথে হাটল গুজরাট সরকারও। জানানো হয়েছে, আইনি জটিলতা না থাকলে ‘আমেদাবাদের’ নাম বদলে করা হবে ‘কর্ণাবতী’।
মঙ্গলবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে গুজরাটের উপমুখ্যমন্ত্রী নিতীন পটেল জানান, আইনি জটিলতা না থাকলে ও রাজ্যের মানুষের সমর্থন পেলে গুজরাটের বিজেপি সরকার আমেদাবাদের নাম বদলে কর্ণাবতী রাখতে চায়। পটেল বলেন, ” গুজরাটের মানুষের এখনও মনে হয় আমেদাবাদের নাম বদলে কর্ণাবতী রাখা উচিত। আমরা যদি রাজ্যের মানুষের সমর্থন পেয়ে আইনি জটিলতা মিটিয়ে ফেলতে পারি, তাহলে শহরের নাম পরিবর্তনে আমরা তৈরি। ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ তকমা পাওয়া ভারতের একমাত্র শহরের নাম বদলের পরিকল্পনা বেশ কিছুদিন ধরেই সরকারের আছে।”
ইতিহাস অনুযায়ী, একাদশ শতাব্দীতে এই অঞ্চলের নাম ছিল আশাভাল। চালুক্য বংশের রাজা কর্ণ আশাভালের ভিল রাজাকে হারিয়ে এই অঞ্চলে এক শহরের পত্তন করেন। সবরমতী নদীর ধারে পত্তন করা এই শহরের নাম তিনি দেন কর্ণাবতী। পরবর্তিকালে ১৪১১ সালে সুলতান আহমেদ শাহ এই এলাকার দখল নেন। তিনিই কর্ণাবতীর নাম বদলে রাখেন আমেদাবাদ। উপমুখ্যমন্ত্রী নিতীন পটেল জানান, ” এই শহরের নাম পরিবর্তন করা একেবারে যথাযথ।”
এই খবর সামনে আসার পরেই তীব্র বিরোধিতা করে কংগ্রেস। কংগ্রেসের গুজরাটের মুখপাত্র মনীশ দোশী বলেন, ” নির্বাচনের আগে রাম মন্দির তৈরি, কিংবা আমেদাবাদের নাম বদলে কর্ণাবতী রাখার কথা, এগুলো সবই বিজেপি’র ভাওতা। এইসব ভাওতা দেখিয়ে হিন্দু ভোট নিজেদের দিকে টানার চেষ্টা করছে বিজেপি। ক্ষমতায় আসার পর সাধারণ মানুষের কথা আর বিজেপি নেতাদের মনে থাকে না। এতদিন ধরে হিন্দুদের বোকা বানিয়ে আসছে বিজেপি।”
এর আগে ফৈজাবাদের নাম পরিবর্তনের প্রসঙ্গে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ” অযোধ্যা হিন্দুদের সম্মান, গর্ব ও শৌর্যের প্রতীক। তাই এই নাম পরিবর্তন হিন্দুদের সম্মান বাড়াবে।” সেই প্রসঙ্গেও বিরোধিতা জানিয়েছিল কংগ্রেস। ফের নাম বদল নিয়ে লেগে গেল রাজনৈতিক ঠোকাঠুকি।
Be the first to comment