প্রতি বছরই কালী পুজো ঘিরে একটা অন্য উন্মাদনা তৈরি হয় আলিপুর জেলের ভিতর। পুরোহিত থেকে জোগাড়ে, সবেতেই জেল কয়েদিরা। তবে, এ বছর নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হল পুজো। তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন কয়েদিরা। সকাল থেকেই দফায় দফায় চলছে বিক্ষোভ।
জেল সূত্রে খবর, সব কটা ওয়ার্ড মিলিয়ে ১৫-১৬টা কালীপুজো হয় জেলের ভিতর। সেই ব্রিটিশ আমল থেকেই চলে আসছে পুজো। পুজোর উপচার আসে বাইরে থেকে। জোগাড়ের দায়িত্বে থাকেন কয়েদিরাই। প্রতিমা গড়া থেকে পুজোর মন্ত্রপাঠ সবেতেই থাকেন তাঁরা। এ বছর এই জেল উঠে আসছে বারুইপুরে। তাই শেষবারের মতো কালী পুজো করতে উৎসাহী ছিলেন আলিপুর সংশোধনাগারের কয়েদিরা।
জেল কর্তৃপক্ষের কথায়, পুজো শুরুর আর্জি জানিয়ে সকাল থেকেই অনশনে বসেছেন বন্দিরা। এই বিক্ষোভকারীদের মধ্যে আট জন মাওবাদীই রয়েছেন। জেল সুপারকে ঘিরে চলছে প্রতিবাদ। ঘটনাস্থলে রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
আলিপুর জেল বারুইপুরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আদালতের সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে। খুব দ্রুতই স্থানান্তরিত হবে জেল। আলিপুর সেন্ট্রাল জেলের বন্দিদের বারুইপুরের জেলে নিয়ে যাওয়া হবে। এই জেল স্থানান্তরিত করার কারণ হিসেবে রাজ্য কারা দফতর জানিয়েছিল, মূলত নিরাপত্তা এবং শহরের কেন্দ্রে অনেকটা জমি পাওয়ার সুবিধা। আলিপুর জেল এমনিতেই রাজ্যের সব চেয়ে ‘হাই প্রোফাইল’ জেলগুলির মধ্যে একটা। তাই কয়েদিদের নিরাপত্তাও একটা বড় প্রশ্ন। জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, নিরাপত্তার কারণেই এ বছর বাইরে থেকে পুজোর কোনও সামগ্রী জেলের ভিতর ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
তবে জেল কর্তৃপক্ষের কোনও কথাই শুনতে নারাজ কয়েদিরা। তাঁদের দাবি, জেল সুপার এস কে ঘোষ ও জেলর অমৃতা মণ্ডলকে অবিলম্বে বদলি করে দিতে হবে। যতক্ষণ না সেটা হচ্ছে তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
Be the first to comment