সালটা ১৯৯৯, কান্দাহারে নামানো হয় অপহৃত এয়ার ইন্ডিয়া বিমান আইসি-৮১৪-কে। হরকত-উল-মুজাহিদিনের জঙ্গিরা বিমান অপহরণ করে কান্দাহারে নিয়ে যায়। যা তখন পুরোপুরি তালিবানের নিয়ন্ত্রণে। সেই তখন থেকেই তালিবানের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভারত। ১৯৯৯ থেকে ২০১৮। এতগুলো বছর পেরিয়ে এই প্রথম তালিবানের মুখোমুখি ভারত। রাশিয়ার ডাকে সাড়া দিয়ে আফগানিস্তানে শান্তি ফেরাতে বৈঠক।শুক্রবার সেই বৈঠকেই কার্যত শ্রোতার ভূমিকায় ছিলেন ভারতের দুই প্রতিনিধি।
শুক্রবারই মস্কোর তরফে বৈঠকের আমন্ত্রণ পেয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রভীশ কুমার জানিয়েছিলেন,আফিগানিস্তানে শান্তি ও সমন্বয় সাধনে সম্পূর্ণ সমর্থন রয়েছে ভারতের,তবে নন অফিসিয়াল স্তরেই ভারত প্রতিনিধিত্ব করবে। সেখানে দেশের কোনও মন্ত্রী বা সরকারি কর্তা যোগ দেবেন না।
কথা মতোই বৈঠকে ভারতের হয়ে কোনও সরকারি কর্তা বা মন্ত্রী প্রতিনিধিত্ব করেননি। প্রতিনিধিত্ব করেছেন আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানে ভারতের প্রাক্তন দুই রাষ্ট্রদূত-অমর সিনহা এবং টিসিএ রাঘবন। ২ জনেই বৈঠকে নিজেদের কোনও মতামত রাখেননি। দিল্লির নির্দেশ মেনেই নন অফিশিয়াল স্তরে উপস্থিত ছিলেন মাত্র।
রাশিয়ান ফেডারেশনের তরফে মস্কোয় আফগানিস্তানের শান্তি বৈঠক। তালিবানের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিত্ব করে ৫ সদস্যের দল। কাতারে তালিবানের হেড অফিসের ৫ সদস্য বৈঠকে যোগ দেন। নেতৃত্বে ছিলেন তালিবান নেতা শের মহম্মদ আব্বাস তানাকাজি। বড় গোল টেবিলের একদিকে তালিবানের ৫ সদস্য, অন্য দিকে ভারত সহ অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিরারা।
বৈঠকের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত নিজের বক্তব্য রাখলেন রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রী সারজে লাভরোভ। রাজনৈতিক স্তরে শান্তি বৈঠকের মাধ্যমেই আফগানিস্তান ও পার্শ্ববর্তী জঙ্গি বিধ্বস্ত দেশের সমস্যা মিটবে বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে তালিবানদের এগিয়ে আসার কথাও বলেন।মস্কোর ডাকে সাড়া দিয়ে এই শান্তি বৈঠকে তালিবানের অংশগ্রহণকেও ইতিবাচক মনে করেন তিনি।
বৈঠক শেষে, হাসি মুখে তালিবানের ৫ সদস্যকে ধন্যবাদ জানান রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রী। ভারতের ২ প্রতিনিধি ক্যামেরার সামনেও আসেননি। আনুষ্ঠানিক সৌজন্য সেরেই দূরত্ব কায়েম রাখেন।
Be the first to comment