দুই মেয়ের পিতৃত্ব নিয়েই ছিল সন্দেহ। ইদানীং ছোট মেয়ের পিতৃত্ব নিয়ে সন্দেহটা বেশি চাগাড় দিয়েছিল বিপ্লবের। সেই সন্দেহের বশেই দুই মেয়েকে কুপিয়ে খুন করেছিল সে। জেরায় অভিযুক্তের থেকে এমন তথ্যই পেয়েছে পুলিশ।
হলদিয়ার বড়বারি এলাকায় ঘটনাটা ঘটে গত ৪ নভেম্বর। এলাকার বাসিন্দাদের কাছে খবর পেয়ে বিপ্লবের বাড়িতে গিয়ে শিউড়ে ওঠে পুলিশ। দুই কিশোরীর ক্ষতবিক্ষত, রক্তাক্ত দেহের সামনে বসে কেঁদে চলেছেন তাদের মা। জানিয়েছিলেন, তাঁর স্বামীই খুন করেছেন দুই মেয়েকে।
পুলিশ জানিয়েছে, এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ছোট মেয়ের জন্মের পর থেকেই স্ত্রী সাগরিকার সঙ্গে অশান্তি বাড়ে বিপ্লবের। তাদের মধ্যে বচসা লেগেই থাকত। জেরায় অভিযুক্ত জানিয়েছে, ছোট মেয়ের পিতৃত্ব নিয়েই নাকি বেশি সন্দেহ ছিল তার। প্রথমে নানা অসংলগ্ন কথা বললেও পরে নিজের অপরাধ স্বীকার করেছে সে।
অভিযুক্তের বয়ান অনুযায়ী, ঘটনার দিন বাড়িতে শুধু তার দুই মেয়ে ছিল। বড় মেয়ে পুতুল শৌচালয়ে গেছিল। ছোট মেয়ে পূজা বসে খেলছিল। বিপ্লব প্রথমে হাঁসুয়া দিয়ে তার ছোট মেয়েকে কুপিয়ে খুন করে। চিৎকার শুনে বড় মেয়ে শৌচালয় থেকে বেরিয়ে গোটা ঘটনা দেখে ফেলায় তাকেও খুন করে বিপ্লব। পুলিশ জানিয়েছে, বিপ্লবের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সাগরিকা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই খুনের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
Be the first to comment