বন্য প্রানীদের প্রতি তাঁর ভালোবাসা অজানা নয়। ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফি তাঁর অন্যতম শখ। তাই পাঁচ বছরের বাঘিনী অবনীকে মেরে ফেলা আসলে সুপারি দিয়ে খুন করার মতোই বলে মনে করছেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে।শনিবার মহারাষ্ট্র সরকারের বিরুদ্ধে এভাবেই গর্জে উঠলেন তিনি। দাবি করলেন, “যারা অবনীকে মারার সুপারি দিয়েছে তাদের নিয়েই তদন্ত কমিটি তৈরি করেছে সরকার, যা হাস্যকর।”
২০১৯-এ লোকসভা নির্বাচন, রাজনীতির ময়দানে নতুন ইস্যু –অবনী। তাই, বিজেপি-শিবসেনা জোটের তোয়াক্কা না করেই উদ্ধবের অভিযোগ , “সরকারের প্রচ্ছন্ন প্রশয়ে অবনীকে হত্যার ছক কষা হয়। তিন-চার মাসের প্রস্তুতির পর ঠান্ডা মাথায় বাঘিনীকে গুলি করা হয়। তদন্তে নতুন কী তথ্য উঠে আসবে জানা নেই, তবে অবনীকে যারা খুন করেছে তাদের জেল হওয়া উচিত, তদন্ত কমিটি করে লাভ নেই।
উদ্ধব ঠাকরের সমালোচনাকে বেশ ঠান্ডা মাথায় সামলেছেন মহারাষ্ট্রের বনমন্ত্রী সুধীর মুঙ্গাতিওয়ার। বক্তব্যে তিনি বলেন, “মহারাষ্ট্রের বিজেপি-শিবসেনা জোটে উদ্ধবই প্রধান মুখ। উদ্ধব চাইলে তাঁর নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করা হোক। কমিটিতে কে থাকবেন, তিনিই ঠিক করে দিন। কিন্তু অবনী নিয়ে চলা রাজনীতির খেলা বন্ধ হোক।”
শনিবার মুম্বইয়ে একটি চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিলেন উদ্ধব। যেখানে তাঁরই তোলা খরা বিধ্বস্ত মহারাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি গ্রামের ছবি প্রদর্শিত হয়। সেখানেই অবনী নিয়ে সোচ্চার হন উদ্ধব। তাঁর প্রশ্ন, অবনীকে ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে, তা স্বীকার করুক সরকার। সার্জিকাল স্ট্রাইকে জঙ্গিদের খতম করার দাবি যে সরকার করছে, সেই সরকার অবনীকে ইচ্ছাকৃত খুন করার কথা কেন স্বীকার করছে না।
উদ্ধবের সঙ্গে গলা মিলিয়ে ছেলে আদিত্য ঠাকরেও অবনী নিয়ে আওয়াজ তোলেন। দাবি করেন, খুনিদের শাস্তি হোক, নারকো টেস্ট করিয়ে সত্যি প্রকাশ্যে আনা হোক।
Be the first to comment