অযোধ্যায় মাংস ও মদ নিষিদ্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো সরকার; পড়ুন!

Spread the love
কিছুদিন আগেই ফৈজাবাদ জেলার নাম বদলে রাখা হয়েছে অযোধ্যা।  এবার রাজ্য সরকারের তরফে ইঙ্গিত মিলল, ওই জেলায় মাংস ও মদ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হবে। শুধু অযোধ্যা নয়, শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থান মথুরা ও উত্তরপ্রদেশের অন্যান্য তীর্থেও মাংস ও মদ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হতে পারে। আপাতত ইঙ্গিত মিলেছে, রাজ্য সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে কয়েকটি অঞ্চলকে তীর্থস্থান বলে ঘোষণা করতে পারে। তা হলে সেখানে মাংস ও মদ নিষিদ্ধ করতে সুবিধা হবে।
রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী ও সরকারের মুখপাত্র শ্রীকান্ত শর্মা গত রবিবার বলেন, সরকার অযোধ্যায় মাংস ও মদ নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছে। এখন কেবলমাত্র অযোধ্যা শহরে মাংস ও মদ নিষিদ্ধ। কিন্তু রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধুসন্তরা আবেদন জানিয়েছেন, যে জেলায় রামের জন্মস্থান, তার সর্বত্র মাংস ও মদ নিষিদ্ধ করা উচিত। শুধু তাই নয়, শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থান মথুরাতেও মাংস ও মদ নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন অনেক সাধুসন্ত।
মন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়, পুরো অযোধ্যা জেলায় যেমন মাংস, মদ নিষিদ্ধ করার কথা ভাবা হচ্ছে, মথুরার ক্ষেত্রেও কি পুরো জেলাতেই নিষিদ্ধ করা হবে? তিনি বলেন, একটি নির্দিষ্ট ভৌগলিক অঞ্চলের মধ্যেই মাংস ও মদ নিষিদ্ধ করার কথা ভাবা হচ্ছে।
তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, মাংস, মদ নিষিদ্ধ করার জন্য কি সরকার নতুন আইন করবে। তিনি বলেন, কয়েকটি অঞ্চলকে তীর্থস্থান বলে ঘোষণা করলেই নিষিদ্ধ করা যাবে।
গত ৬ নভেম্বর ফৈজাবাদ জেলার নাম বদলে হয় অযোধ্যা । তার পরে অযোধ্যার অস্থায়ী রামমন্দিরের প্রধান পুরোহিত সত্যেন্দ্র দাস এবং অন্যান্য সাধুসন্ত দাবি করেন, যে জেলার সঙ্গে প্রভু রামের নাম জড়িয়ে আছে, তা শোধন করার জন্য সরকার এখানে মাংস ও মদ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে দিক ।
তাঁদের যুক্তি, এখনও পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা শুধুমাত্র অযোধ্যা শহরে সীমাবদ্ধ রয়েছে। কিন্তু এখন যেহেতু পুরো জেলারই নাম হয়েছে অযোধ্যা, তাই পুরো জেলাতেই নিষেধাজ্ঞা চালু করা উচিত ।
অনেকে বলছেন, সত্যিই যদি নিষেধাজ্ঞা জারি হয়, তাহলে মাংস ও মদ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত শত শত মানুষ বেকার হয়ে পড়বেন । ওই দুই ব্যবসায় জড়িত অনেকে ইতিমধ্যে প্রস্তাবিত নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করছেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*