৫৩ দিন পর আজ সকালেই খুলেছে দাড়িভিট স্কুল। শুরু হয়েছে পঠনপাঠন। আর আজই আবার নতুন জট। আগামীকাল ধৃত ৮ গ্রামবাসী মুক্তি না পেলে ১৪ নভেম্বর থেকে ফের স্কুলের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার হুমকি দিলেন দাড়িভিটের বাসিন্দারা। দিল্লিতে পার্লামেন্টের সামনে ধর্না অবস্থানে বসারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।
এ দিন স্কুল খোলার পরেই রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মনের মৃত্যুর সিবিআই তদন্ত চেয়ে স্কুল গেটের বাইরে ধর্নামঞ্চ তৈরি করে লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু করেন মৃতদের পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা।
অচলাবস্থা কাটিয়ে শনিবার খোলার কথা ছিল দাড়িভিট স্কুল। সেই মতোই স্কুলে চলে আসেন শিক্ষক শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রীরা। কিন্তু শেষমুহূর্তে ফের বেঁকে বসেন নিহত দুই ছাত্রের অভিভাবক সহ অন্য বাসিন্দারা। কোনও মতে তাঁদের সামাল দেওয়া গেলেও অশান্তির ঘটনায় ধৃত আট জনের মুক্তির দাবিতে স্কুলের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। প্রশাসনের আশ্বাসে অবশ্য পরে স্কুল খুলতে দিতে রাজি হন তাঁরা। কিন্তু শর্তসাপেক্ষে। স্কুল চললেও সিবিআই তদন্তের দাবি ও ধৃতদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আন্দোলন চলবে বলে জানিয়ে দেন তাঁরা।
আজ স্কুল চালুর পরেই মৃত ছাত্র রাজেশ সরকারের বাবা নীলকমল সরকার জানান, যতদিন এই ঘটনার সিবিআই তদন্ত না হবে ততদিন লাগাতার ধর্না অবস্থান আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে। তাঁরা কোনওভাবেই রাজ্য সরকারের সিআইডি তদন্তের নির্দেশ মানবেন না। শুধু তাই নয়, আগামীকাল মঙ্গলবার ধৃত গ্রামবাসীরা মুক্তি না পেলে ১৪ নভেম্বর থেকে স্কুল আবার বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। নিহত ছাত্র তাপস বর্মনের মা মঞ্জু বর্মনও বলেন, “আমাদের একটাই দাবি। ছেলের মৃত্যুর ঘটনার সিবিআই তদন্ত।”
Be the first to comment