ছবি সৌজন্যে- (এএনআই)
আগাম জামিনের আবেদন আগেই খারিজ হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার হলেন রেহানা ফতিমা। রেহানাই সেই মহিলা যাকে শবরীমালা মন্দিরের মুখ থেকে টেনে নিয়ে আসা হয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেবতা আয়াপ্পার বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন তিনি।মঙ্গলবার তিরুবনন্তপুরম থেকে রেহানাকে গ্রেফতার করে কেরল পুলিশ।
৩০ অক্টোবর রেহানার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। ‘শবরীমালা সমরক্ষ সমিতি’ তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করে। অভিযোগে বলা হয়, বার বার ধার্মিক ভাবধারায় আঘাত করেছেন ফতিমা।ফেসবুক, ট্যুইটারে দেবতা আয়াপ্পাকে নিয়ে রীতিমত মজা করেছেন। এই সব অভিযোগ এনে রেহানার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।
এরপরেই কেরল হাই কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন রেহানা। ১৭ নভেম্বর যা খারিজ করে আদালত। সুপ্রিম কোর্টেও রেহানার আবেদন খারিজ হয়।নভেম্বরের শেষের দিকেই রেহানাকে গ্রেফতার করা হবে বলে জানা গিয়েছিল। মঙ্গলবারই গ্রেফতার হলেন তিনি। সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে রেহানা গতকালও মামলা লড়বেন বলে জানিয়েছেন।
অবশ্য, শবরীমালায় ঢোকার চেষ্টা রেহানাকে কোনঠাসা করেছে। অক্টোবরে শবরীমালা মন্দির খোলার পরই রেহানা ফতিমার বড় খবরে পরিণত হন। এক তেলেগু মহিলা সাংবাদিককে নিয়ে তিনি নাকি মন্দিরে প্রায় ঢুকে পড়ছিলেন। সেই সময়ই তাঁকে ধরে ফেলে পুলিশ। তখন মন্দিরের দরজা থেকে রেহানার দূরত্ব ছিল মাত্র ৫ হাত। এই ঘটনার পরই সমালোচিত হন রেহানা।
জানা যাচ্ছে, অক্টোবরে শবরীমালা মন্দিরে ফতিমা যখন ঢোকার চেষ্টায় ছিলেন, তখনই তাঁর খালি বাড়িতে ঢুকে জিনিসপত্র তছনছ করেছিল কয়েকজন দুষ্কৃতী। সেই অভিযোগ এখনও নেয়নি পুলিশ বলে দাবি ফতিমার।কর্মস্থলেও বিভিন্ন সমস্যার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। কাজ না করিয়ে বসিয়ে রাখা , পরে ট্রান্সফারও করা হয় রেহানাকে।
গ্রেফতারের পরেও রেহানার দাবি, তিনি দেবতা আয়াপ্পার ভক্ত। কোনওরকম আপত্তিকর মন্তব্য তিনি করেননি।
Be the first to comment