দীর্ঘ ৬ মাস ধরে জঙ্গি বিধ্বস্ত কাশ্মীরে হাতের উপর হাত রেখে বসে আছেন ৮০ এনএসজি কমান্ডো

Spread the love
প্রায় প্রতিদিনই উপত্যকায় চলছে জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি। সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইও রোজ নামচা। এরই মাঝে জানা যাচ্ছে,জঙ্গি বিধ্বস্ত কাশ্মীরে স্রেফ হাতের উপর হাত রেখে বসে আছেন ৮০ জন এনএসজি কমান্ডো। এক বা দু দিন নয় টানা ৬ মাস ধরে। অবশেষে, বাধ্য হয়েই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে এনএসজি-র প্রশ্ন,  আর কতদিন এইভাবে তাদের থাকতে হবে।
এনএসজিসূত্রে খবর, গত মে মাসে জম্মু-কাশ্মীরে ৮০ জন বিশেষ এসজি কমান্ডো-কে পাঠানো হয়। সেই সময় দফায় দফায় জঙ্গি হামলা চলছে কাশ্মীরে। একের পর এক প্রশাসনিক কর্তা, পুলিশ কর্মীদের অপহরণের পর হত্যা করা হচ্ছে। পাশাপাশি সীমান্তেও চলছে পাক সেনাদের সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন। এহেন পরিস্থিতি, জঙ্গি দমনে সেনা কম পড়ছে বলে খবর আসে। তখনই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের নির্দেশে কাশ্মীরে যান এনএসজি-র ৮০  বাছাই কমান্ডো।গত মে মাসে তাঁরা কাশ্মীরে পৌঁছন। তারপর থেকে কার্যত একটাও জঙ্গি বিরোধী অভিযানে কমান্ডোরা যাননি।৬ মাস ধরে শুধু প্যারা মিলেটারি ফোর্সকে প্রশিক্ষণ দিয়ে চলেছেন। এনএসজি-র প্রশ্ন, এই ‘জবরদস্তি ছুটি’ আর কতদিন। ৮০জন কমান্ডোকে ব্যবহার করা না হলে তাদের ফিরিয়ে আনা হোক বলে দাবি।
বর্তমানে জম্মু-কাশ্মীরের হুমহামা ক্যাম্পাসে প্যরা মিলেটারিদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন এনএসজি কমান্ডোরা।এনএসজির অভিযোগ, কমান্ডোদের কাছে   নেই কোনওরকম গাইডলাইনও।২০১৮ সালে জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি হামলা দ্বিগুন বেড়েছে। রিপোর্ট বলছে, প্রায় ৪৫০ জঙ্গি হামলায় প্রাণ গিয়েছে অন্তত ২৩০ সেনার। এর মধ্যে ৮৫ জন সেনা আধিকারিক। গত ৬ মাসে সবচেয়ে বেশি জঙ্গি হামলার মুখে পড়েছে কাশ্মীর। এই অবস্থায় এনএসজি কমান্ডোদের বসিয়ে রাখা মানে শক্তির অপচয় বলে মনে করা হচ্ছে।
এনএসজি ডিজি সুদীপ লখতকিয়ার দাবি, “উপত্যকায় জঙ্গি দমনে হয়ত পর্যাপ্ত সেনা রয়েছে। সেই কারণেই এনএসজি কমান্ডোদের বসিয়ে রাখা হচ্ছে। আমার কেন্দ্রের কাছে অনুরোধ, ৬ মাস কেটে গিয়েছে, এবার কমান্ডোদের ফিরিয়ে আনা হোক।” সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরে গিয়েও কমান্ডোদের সঙ্গে কথা বলেছেন সুদীপ। তারপরেই বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে জানানো হয়।
অবশ্য এখনই কমান্ডোদের ফিরিয়ে আনা হবে না বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। মন্ত্রকের যুক্তি, এনএসজি কমান্ডোদের মস্তিষ্ক জম্মু-কাশ্মীরের জঙ্গি দমনে কাজে আসছে। এখনই  ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*