পুলিশের হাত থেকে ‘অ্যালকোমিটার’ ছিনিয়ে নিয়ে পালাল যুবক; পড়ুন বিস্তারিত!

Spread the love
মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো মানা। মত্ত ড্রাইভারকে ধরতে পারলেই বিশাল টাকা জরিমানা, সেই সঙ্গে শ্রীঘরে কয়েক মাস। মত্ত ড্রাইভারদের শায়েস্তা করার যতই নিয়ম-কানুন থাকুন না কেন, রাতের শহরে তাদের বাগে আনা যাচ্ছে কি? এই প্রশ্নের সদুত্তর যে এখনও মেলেনি তার প্রমাণ ফের মিলল রাজধানী শহরে। মদ্যপ চালককে ধরা তো দূর, পুলিশের হাত থেকে ‘অ্যালকোমিটার’ (যে যন্ত্রে ধরা পড়ে চালক মদ্যপ কিনা সেটা ধরা পড়ে ) ছিনিয়ে নিয়ে পালাল যুবক।
দিল্লির বারাখাম্বা রোডে ঘটনাটা ঘটে শুক্রবার রাত পৌনে বারোটা নাগাদ। মদ্যপ চালকের পিছু নিয়ে তাকে ধরতে এবং অ্যালকোমিটার উদ্ধার করতে রাতভর রীতিমতো নাস্তানাবুদ তে হয় ট্রাফিক কর্তাদের। ছোটখাটো একটা নাটকের শেষে ভোরের দিকে ধরা পড়ে চালক।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই দিন রাতে কন্নট প্লেসের এম-ব্লকের কাছে দুরন্ত গতিতে নিজের সুইফ্ট ছুটিয়ে যাচ্ছিল ওই যুবক। চেক পোস্টে তাকে আটকায় পুলিশ। তার অসংলগ্ন কথাবার্তা শুনেই পুলিশ বুঝতে পারে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছে ওই যুবক। অ্যালকোমিটার এগিয়ে দিয়ে যুবককে শ্বাস নিতে বলেন এক ট্রাফিক কর্তা। প্রথমে নানা টালবাহানা করে এড়িযে যাওয়ার চেষ্টা করে যুবক, পরে নিমেষের মধ্যে অ্যালকমিটার ছিনিয়ে গাড়িতে গতি তুলে হাওয়া হয়ে যায়। পিছু নেন ট্রাফিক কর্তারাও।
নয়াদিল্লির ডিসিপি মধুর বর্মা জানিয়েছেন, যুবকের গাড়ির শেষ চারটে ডিজিট নোট করে নিয়েছিল পুলিশ। তার থেকেই জানা যায় ওই গাড়ির মালিকের নাম ঋষি ধিংড়া। নয়ডার বাসিন্দা সে। ভোরের দিকে বাড়ির কাছ থেকেই ধরা পড়ে সে। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর অভিযোগে ছ’মাসের জেল ও দু’হাজার টাকা জরিমানা হয়েছে ঋষির। তবে পুলিশের আক্ষেপ অ্যালকোমিটারটা উদ্ধার হয়নি। কারণ, নেশার চোটে পুলিশের ভয়েতে অ্যালকোমিটারটা নাকি গাড়ির জানলা দিয়ে বাইরে ফেলে দিয়েছিল অভিযুক্ত।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*