প্রকাশ্য দিবালোকে ব্যস্ত রাস্তার মোড়ে বসে এক ব্যক্তিকে উন্মাদের মতো কুপিয়ে চলেছে আর একজন। হাতে মাংস কাটার ধারালো ছুরি। রক্তে ভেসে যাচ্ছে চারপাশ। খুনির কিন্তু হুঁশ নেই, চোখে তার প্রতিহিংসার আগুন। কোপাচ্ছে আর তারস্বরে বিলাপ করছে। চোখের সামনে এমন ভয়ানক দৃশ্য দেখে থমকে গেলেন পথ চলতি মানুষ। থেমে গেল রাস্তার মোড়ে যান চলাচলও। দূরে দাঁড়িয়ে ঘটনার ভিডিও তুললেন পথচারীরা।
হাযদরাবাদের মীর চক এলাকার নয়াপলের কাছে এই ঘটনার দু’টি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। একটি ভিডিওতে দেখা গেছে রাস্তায় রক্তাক্ত আছাড়ি পিছাড়ি খাচ্ছেন এক ব্যক্তি। আর তার গলায় ক্রমাগত ছুরির কোপ বসিয়ে চলেছে আর একজন। দ্বিতীয় ভিডিওতে, দেখা গেছে রক্তে ভেজা জামাকাপড়েই মৃতদেহের পাশে বসে বিলাপ করছে অভিযুক্ত। সে বলছে, “আমার মা ও দিদিকে বার বার ধর্ষণ করেছে। আজ নিজের হাতে শাস্তি দিয়েছি।”
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম আবদুল খাজা (২৯)। পেশায় সে রিক্সা চালক। বাড়ি মীর চক এলাকাতেই। ভাড়া করা রিক্সা চালিয়ে সংসার চালায় আবদুল। বাড়িতে তার মা ও দিদি রয়েছেন। নিহতের নাম শাকির কুরেশি (৩০) । তার নিজের অটো রয়েছে। জেরায় অভিযুক্ত জানিয়েছে, শাকিরের সঙ্গে তার বিবাদ দীর্ঘদিনের। সে নাকি তার মা ও দিদির উপর একাধিক বার শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছে। তাদের পরিবারকে নানা ভাবে হুমকিও দিয়েছে। তাই মা ও দিদির নিরাপত্তার জন্যই সে শাকিরকে খুন করেছে।
মীর চক থানার পুলিশের শীর্ষ আধিকারিক আমবের কিশোরের কথায়, ঘটনাটা খুবই মর্মান্তিক। আর আশ্চর্যের বিষয় চোখের সামনে এমন নারকীয় ঘটনা ঘটতে দেখেও কেউ আবদুলকে নিরস্ত করার চেষ্টা করেননি। উল্টে পথচারীরা ঘটনার ভিডিও তুলেছেন। সেই ভিডিও ভাইরালও হয়েছে।
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। শাকিরের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
Be the first to comment