মনে আছে শিক্ষক দিবসে বিশ্বভারতীর কথা? রবি ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত সেই ক্যাম্পাসেই ধুতি পরে ‘লুঙ্গি ড্যান্সে’ কোমর দুলিয়েছিলেন সঙ্গীত ভবনের অধ্যক্ষ নিখিলেশ চৌধুরী। শুধু তো তিনি নন, অধ্যাপক অমর্ত্য মুখোপাধ্যায়-সহ বেশ কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রীও কোমর দুলিয়েছিলেন ‘লেড়কি বিউটিফুল’-এর লাউড সাউন্ডে। প্রায় আড়াই মাস পর সেই ঘটনায় নোটিস দিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার বিশ্বভারতীর নবনিযুক্ত উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী নোটিস জারি করেছেন শিক্ষক দিবসের ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে। বিজ্ঞপ্তিতে নয়া উপাচার্য বিশ্বভারতীর সমস্ত ভবনকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে বিজ্ঞপ্তিতে এ-ও বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। শিক্ষক দিবসে অধ্যাপক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের চটুল নাচের ভিডিও ১৩ সেপ্টেম্বর প্রকাশ্যে আসে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর আবার মিডিয়ার দিকেই আঙুল তুলেছিলেন অধ্যাপক এবং ছাত্রছাত্রীরা। প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন মুখে কালো কাপড় বেঁধে। কিন্তু মুখে ঢেকে যতই মুখ রক্ষার চেষ্টা হোক না কেন, ততক্ষণে মুখ পুড়েছিল বিশ্বভারতীর।
দীর্ঘদিন ধরে উপাচার্যহীন ছিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। দুর্নীতির দায়ে উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্তকে অপসারণ করেছিলেন তৎকালীন মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তারপর কেটে গিয়েছে প্রায় দু’বছর। মাঝে অস্থায়ী উপাচার্য-এর দায়িত্ব দেওয়া হয় অধ্যাপক স্বপনকুমার দত্তকে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে অবসর নেন তিনিও। এরপর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে উপাচার্য নিযুক্ত করা হয়। এবং শোনা যায়, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়েও খুব কড়া অধ্যাপক হিসেবেই পরিচিত ছিলেন বিদ্যুৎবাবু। দায়িত্ব নেওয়ার দেড় মাসের মধ্যেই সেই বার্তা দিয়ে দিলেন বিশ্বভারতীর নয়া ভিসি।
Be the first to comment