বাড়ির কাছে বাঁশঝাড় থেকে উদ্ধার হল এক কলেজ ছাত্রীর দেহ। তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে পরিবারের দাবি। ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে ময়নাগুড়ি ভোটপট্টি এলাকায়। তদন্তে শুরু করেছে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ।
আজ সকালে এলাকার বাসিন্দারা জমিতে কাজ করতে গেলে, শোভাবাড়ি গ্রামের বাঁশ ঝাড়ের মধ্যে ওই ছাত্রীর দেহ দেখতে পান। তাঁর দু হাত বাঁধা ছিল। গলায় গামছার ফাঁস জড়ানো ছিল বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। খবর চাউর হতেই ময়নাগুড়ি থানায় খবর যায়। ময়নাগুড়ি থানার আইসি তমাল দাস বিশাল বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। ময়নাতদন্তে পাঠানো হয় প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রীর দেহ।
মৃত ছাত্রীর মায়ের অভিযোগ, ভোটপট্টি এলাকারই এক যুবক তাঁর মেয়েকে উত্যক্ত করত। বারবার ফোনও করতো। কিন্তু তাঁর মেয়ে ওই যুবককে পছন্দ করতেন না। গতকালও বেশ কয়েক বার তাঁর মেয়েকে ফোন করেছিল ওই যুবক। তিনি আরও জানান, বুধবার সন্ধের পর একটা ফোন পেয়েই বাড়ি থেকে বের হয় তাঁর মেয়ে। তারপর আর বাড়ি ফেরেনি। আজ সকালে বাড়ির অদূরে মিলল তাঁর দেহ।
ময়নাগুড়ি থানার আই সি তমাল দাস বলেন, “হাত বাধা অবস্থায় দেহটি ছিল। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে মেয়েটিকে শারীরিক নিগ্রহের পর গলায় গামছার ফাঁস দিয়ে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে বিষয়টি বোঝা যাবে।”
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ওই ছাত্রীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ।
Be the first to comment